পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৪৫

কেহ বা মৎসরিতাপ্রযুক্ত রস গ্রহণ করার সামর্থ্য থাকিলেও করিতে পারে না। কেহ কেহ বা কাব্যের কিয়দংশ গ্রহণ করিতে পারে, অপর বহু অংশ গ্রহণ করিতে পারে না, কাব্যের যথার্থ গুণদোষাদিও বুঝিতে পারে না। যতটুকু বুঝিতে পারে সেই অনুসারে রস পায়, হয় ত শেষ পর্য্যন্ত বুঝাইয়া দিলে সবটুকুও বুঝিতে পারে। এতাদৃশ বুদ্ধিকে বলে ‘সতৃণাভ্যবহারিতা। কিন্তু যাঁহার বুদ্ধি “তত্ত্বাভিনিবেশিনী,” তিনি একদিকে যেমন শাস্ত্রগ্রন্থন কৌশলে আনন্দ পান অপরদিকে তেমনি বাক্যের স্ফুটতা ও অর্থগৌরব দেখিয়া মুগ্ধ হন ও সমস্ত তাৎপর্য্য বুঝিয়া রসে অভিষিক্ত হন।—

শব্দানাং বিবিনক্তি গুম্ফনবিধীনামোদতে সূক্তিভিঃ
সান্দ্রং লেঢ়ি রসামৃতং বিচিনুতে তাৎপর্য্যমুদ্রাঞ্চয়ঃ।
পুণ্যৈঃ সংঘটতে বিবেক্তৃবিরহাৎ অন্তর্মুখং তাম্যতম্
কেষামেব কদাচিদেব সুধিয়াং কাব্যশ্রমজ্ঞোজনঃ।

(কাব্যমীমাংসা পৃঃ-১৪-১৫)

 কাব্যমীমাংসার বাক্যগুলি স্মরণ রাখিয়া আমাদের পূর্ব্ব প্রসঙ্গ পর্য্যালোচনা করিলে আমরা চিত্রপদ্ধতির মধ্যে আরও একটু বিশেষভাবে প্রবিষ্ট হইতে পারি। চিত্রী একদিকে বাহ্যবস্তুর সহিত পরিচয় রাখিবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নানাবিধ শাস্ত্র লোকাচার জীবজন্তু প্রভৃতির নানাপ্রকার ব্যবহার সম্বন্ধেও অভিজ্ঞ হইবেন অপরদিকে তেমনি তাঁহার চিত্ত এমন হওয়া চাই যাহাতে কোনও বস্তুবিশেষ দেখিয়া তাহার নানা সামঞ্জস্য সম্বন্ধ জাগ্রত হইয়া