পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মার্চ, ১৯০৪ ] প্রায় ধনী লোকদেরই ইহা অধিক হইয়। থাকে। সুতরাং টঙ্গার নাম *morbus divitum” রাখা হষ্টয়াছে । কারণ ইহার সহজেই অত্যন্ত অtয়াস প্রিয় হন, কোন শারীরিক ব্যায়াম করিতে অনিচ্ছুক হন, এবং উপরন্ত অনেক গুরুপাকভোজী ও মদ্যপায়ী হইয়া থাকেন । সুতরাং আয়াসপ্রিয় তা হেতু যকৃতের ও অন্ত্রের ক্রিয়া ভালরূপ হইতে পারে না এবং ঐ গুরুপাক আগরীয় দ্রব্যও ভালবাপে হজম না হইয়। এক রোগের কারণ স্বরূপ হয় । তৃতীয় কল্পনা ডাক্ত র হেগ সাহেব বহু গবেষণার পর এই মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন যে, “লোকের শরীরে খাদ্য দ্রব্য হইতে এমন কোন বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় যাহা শরীরের মধ্যস্থ কোন তত্ত্ব বিধানের ( tissue ) মধ্যে জমা হইয়া ইহার বিষক্রিয়া প্রকাশ করে । অতএব আমাদের প্রধান ও প্রথম কৰ্ত্তব্য এই যাহাতে উক্ত রোগী এরূপ কোন খাদ্য বা পথ্যগ্ৰহণ না করে, যাহা হইতে ঐরুপ বিষাক্ত পদার্গ শরীর মধ্যে উৎপন্ন হইতে পারে, ও ঐ বিষাক্ত পদার্থকে সেই দেহ তত্ত্ব মধ্যে জমা হইতে বাধা দিয়া এবং তাহা শরীর হইতে বহির্গত করিয়া দেওয়াই একান্ত প্রয়ো छन्।ोम्न ।' সুতরাং উপরোক্ত বিষয় লক্ষ্য রাখিয়া চিকিৎসা করিতে হইলে রোগীর পখ্যাপথ্য সম্বন্ধে আমাদের প্রথমতঃ লক্ষ্য রাখিতে হইবে । পথ্য সম্বন্ধে এই দেখা উচিত যে, রোগীর নিজ শরীরের গুরুত্বাচ্চুযায়ী পরিমাণ মত এৰমেন নাইটে জিনাল বা আর্থাইটিস ও তাহার চিকিৎসা-প্রণালী । । - Ե»Գ র্যার,নিনাস্ খাদ্য যাহা সে ব্যবহার করে, তাহাতে আছে কি না । এৰমেন যাহা এই সকল খাদা দ্রব্য হুইতে পাওয়া যায়, তাহাতে স্বল্প পরিমাণে ই য়ুরিক এসিড, থাকিতে পারে কি স্বী একেবারে নাও থাকিতে পারে। ঐ সকল খাদ্য দ্রব্য যেমন পাউরুটীর শাস কিম্বা হাতেকরা রুট, বিস্কুট, দুগ্ধ, ছান, শুস্কফল, যেমন বাদাম, পেস্ত}, আখরোট, আলুবোথার প্রভূতি, অল্প পরিমাণে শাক সবজি বিশিষ্ট তরকারী ও টাটক৷ ফল মূলের মধ্যে পেপে ( যাহা ক্ষুধা উদ্দীপক ও মৃদুবিরেচক ও যকৃতের ক্রিয়ার উত্তেজনা করে ) হইতে একুমেন পাওয়া যায় ; সুতরাং উক্ত রোগাক্রাস্ত রোগীর পক্ষে ঐ সকল খাদ্য ব্যবহার করা বিধেয় । এইরূপ । পথ্য পরিবর্তনে একমাত্র উপকার এই হয় যে, রোগীর নিজ শরীরমধ্যজাত ইয়ুরিক এসিড ক্রমে ক্রমে শরীর হইতে বহির্গত হইয়া যাইতে পারে, কারণ ইহা দেখা গিয়াছে যে, যদি কোন গতিকে শরীর মধ্যে ইয়ুরিক এসিড অনুষ্ঠান করান হয়, তাহা হইলে এই ইয়ুরিক এসিড শরীর মধ্যজাত ইয়ুরিক এসিড নির্গমনের ও বহিভূত হওয়ার বাধা দেয় । এবং এই অপর্ষ্যাপ্ত ষ্টযুরিকৃ এসিড দেহের তত্ত্ব বিধানের মধ্যে ও রক্তে জমা হইয়। ঐ পীড়ার লক্ষণ সমূহ প্রকাশ করে। সুতরাং কেবল মাত্র পূৰ্ব্বোক্ত পথ্যাদির পরিবর্তন করিলেই রোগ উপশমের সুফল झ झे ब्र ! थां८क । উপরোক্ত নিয়মাকুযায়ী রোগীর পথ্য পরিবর্তন করিবার পর দেখা গিয়াছে যে উক্ত রোগাক্রান্ত রোগীর সন্ধি সমূহের