d R R उन् বিদুর। তাই বলুন। সুৰ্য্যের প্রতিভায় আপনি কৌরবকুল উজ্জল ক’রে রেখেছেন। . মহারাজ শান্তনুর সমক্ষে চির-কৌমাৰ্য্য ব্ৰত গ্ৰহণ ক’রে, আপনি এতকাল পৰ্যন্ত কুরুকুলের রক্ষীর কাৰ্য্য করে আসছেন। জ্ঞান হ’য়ে অবধি আমি আপনাকে এক দিনের জন্য বিষন্ন দেখিনি। চির-শান্ত যোগিরাজ, আপনার বিশাল সাগরতুল্য মন চির-আচঞ্চল! আমার মনে হয়, সুধু আমি কেন, কেউ কখন তা’তে এক মুহূর্তের জন্যও বিক্ষোভ দেখেনি। আপনি দয়া ক’রে বলুন, আমি আপনার মুখে যে বিষাদচিহ্ন দেখলুম, তা আমার দৃষ্টিভ্ৰম ! “ভীষ্ম। তুমি পরমতত্ত্বজ্ঞ। যদিই তুমি আমাকে বিষন্ন দেখ, তা” হ’লে আমি না। ব’লব কেমন ক’রে ? বিদুর । আমার চিত্ত-বিক্ষোভের কারণ উপস্থিত হ’য়েছে। লোক-পরম্পরায় শুনলুম, পঞ্চপাণ্ডব দ্রৌপদীর সঙ্গে দীর্ঘ অজ্ঞাতবাসের পর বিরাটের সভায় আত্মপ্ৰকাশ ক’রেছেন । বিদুর। তাই শুনেই কি আপনার চিত্তচাঞ্চল্য হ’য়েছে ? ভীষ্ম । হবার কি কারণ নাই বিদুর ? --বিদুর । ক’ই-আমি ত বুঝতে পারছি না ! যেদিন আপনার চিত্তের অস্থিরতার সম্যক কারণ উপস্থিত হ’য়েছিল; সেদিন যখন হয়নি। তখন আজ হবে কেন ? ভীষ্ম। কোন দিন ? বিদুর। যে দিন দুরাত্মা দুঃশাসন একবস্ত্র রাজস্বলা দ্রৌপদীকে কেশাকর্ষণ ক’রে কৌরব সভামধ্যে নিয়ে এসেছিল এবং তঁর পঞ্চস্বামীর --সুমুখে অপমান, ক’রেছিল। সে দিন বিশাল বারিধির সর্বস্তরে বিক্ষুব্ধ হ’বার কারণ হ’য়েছিল। দুৰ্ভাগ্যবশে আমিও সেদিন সে সভায় উপস্থিত ছিলুম। সে দিন আমি কারও দিকে লক্ষ্য করিনি। দুঃশাসনের দিকেও লক্ষ্য করিনি,-পঞ্চভ্রাতার দিকেও লক্ষ্য করিনি,-সভাসদদিগের দিকেও দৃষ্টিনিক্ষেপ করিনি। আমি শুধু আপনার পানে চেয়েছিলুম। অনাথশরণ আপনারই সম্মুখে আপনার কুলবধুর উপর অত্যাচার। দেখছি,সুম, তা
