পাতা:মণিমালিনী.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক । জগদীশ ! সেই সময়েই আমার কেন মৃত্যু হল না ! তা হবে কেন । দীননাথের সে ইচ্ছা নয়। যখন কুমার বীরভূষণ দেখলেন রাজ্য রক্ষার আর উপায় নাই, পিতা ইন্দ্রনীল বন্দী ছলেন তখন তিনি কি করেন ? কোন উপায় না দেখে এক খানি নৌকা করে কতিপয় স্বজন সঙ্গে রাণী ও আমাকে লয়ে রাজ্য হতে পলায়ন কল্যেন । কোন দুরাত্মা এই সমাচার জ্ঞাত হয়ে আমার পিতার নিকট জানায় । পিতা কয়েক খানি নেীক কতিপয় সৈন্য সহ আমাদের অনুসরণে পাঠালেন। তারা যখন আমাদের নিকটবৰ্ত্তী হল, সেই সময় এক প্রবল ঝড় এসে আমাদের নৌকা জলমগ্ন ছলো। রাণী জোর বীরভুষণ জলমগ্ন হয়ে মরে গেলেন –কেবল এই হতভাগিনী চিরদিন কাদৃবার জন্যে বেঁচে গেল। পিতার অনুচরেরা আমাকে অজ্ঞাদ্ধাবস্থায় লয়ে চলে এল । জয় । কি সৰ্ব্বনাশ ! ধন্থ তবে তোমাদের বিবাহ হল... মণি । সেই দিনেই—সেই কালসম ? দিনেই—সেই অশুত দিনেই আমাদের শুভকাৰ্য্য সমাধা ছল । যখন প্ৰাণেশ্বর দেখলেন—ঘোরতর বিপদ, তখন ডিনি আমার নিকট বিবাছের সম্মতি চেলেন । তাকে আমার কিছুই জদেয় চিপ মা । ইতিপূর্বে মন প্রাণ সকলি তার ছাতে সঁপে নিয়াছিলেম । সখি ! কিছুই বাকি ছিল না । জগদীশ্বরকে স্বাকী করে সেখানেই আমাদের বিবাহ হল । জয়ে পরাজয়ে, সুখে ಇಡ್ಲಿ সম্পদে বিপদে আমি ভাবি হলেম । ৰে দিনে ৰিৰাছ সেই দিনেই বিধবা ! ভগবানের ইচ্ছা কে খণ্ডাতে পারে ? জয়া। ও মা ! কি সৰ্ব্বনাশ ! এমন সৰ্ব্বনেশে কৰা তো কখনো শুনি নাই !