পাতা:মরণের ডঙ্কাবাজে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भge ठश दांgछ -ওদিকে গিয়ে দেখে আর কি হবে মিনি ? চলে আগে কোথাও একটু গরম চা খাওয়া যাক । বোমা-ফেলা ও হত্যা ব্যাপারটা দেখে দেখে কদিন ওদের গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। শুধু ওদের নয়, সাংহাই-এর লোকজন, দোকানী, পথিকদেরও। নতুবা গত আধা ঘণ্টা ধত্ত্বে হাসপাতালের ওপর বোমাবর্ষণ চলছে, চোখের সামনে এই ভীষণ প্ৰলয় লীলা ও মাথার ওপরে চক্রাকারে উড়নশীল তিনখানা জাপানী বোম্বারকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে চ্যাং সে লীন এ্যাভিনিউর চায়ের দোকান, মাংসের দোকান, ভাত-তরকারীর দোকান সব খোলা । লোকজনের দিব্যি ভিড় । রাত পৌনে আটটা । হঠাৎ এ্যালিস জিগ্যেস করলে-ছেলেট মারা গেল, তখন ক’টা ? বিমল বল্লে-ঠিক সাড়ে সাতটা । ওকথা ভেবো না। এ্যালিস। চল আর একটু এগিয়ে । এক্ষুনি লাস নিয়ে যাওয়ার ভ্যান আসবে হাসপাতালে। আমরা একটু তফাতে যাই। একটা সামিয়ানার নীচে ওরা চা খেতে বসলো । দোকানের মালিক একজন রোগা চেহারার চীনা স্ত্রীলোক । সে এসে পিজিন ইংলিশে বল্লে-কি দেবো ? বিমল বল্লে-খাবার কি আছে ? --ভাজা মাছ, রুট, মাখন আর ব্যাঙের-থাক থাক রুটী মাখন ভাজা মাছ নিয়ে এসোরুটী মাখন অন্যত্র চীনা দোকানে পাওয়া যায় না ; তবে চ্যাং সে লীন এ্যাভিনিউর দোকানগুলো কিছু সৌখীন ও বিদেশী-ঘেষা। ধূমায়িত চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে বিমল একটা আরামের নিঃশ্বাস ফেললে । Ved