পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি না ধৰ্ম্ম ? সময় স্বয়ং শত শত দরিদ্রকে অন্ন-বস্ত্র বিতরণ করিয়া থাকেন। বার্ষিক পঞ্চ সহস্র মুদ্র আয়ের ব্রহ্মোত্তর জমীর অধিকাংশই তিনি দীন দরিদ্রের সেবায় ব্যয় করিতেন। সুতরাং পবিত্র তীর্থস্থানে এরূপ সুন্দর কল্যাণকর অনুষ্ঠান দর্শনে বেদান্তবাগীশ অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন। সত্রের তত্ত্বাবধানের ভার জনৈক পরিণতবয়স্ক বাঙ্গালী ব্ৰাহ্মণ কৰ্ম্মচারীর হস্তে ন্যস্ত ছিল। কৰ্ম্মচারী এই তেজঃপুঞ্জকলেবর পরম পণ্ডিত ব্ৰাহ্মণের সহিত আলাপে মুগ্ধ হইলেন। অল্পদিনের মধ্যে উভয়ের সৌহৃদ্য জন্মিল । বেদান্তবাগীশ শুনিয়া বিস্মিত হইলেন, এই অন্নসত্রের প্ৰতিষ্ঠাত্রী ব্ৰাহ্মণকন্য| চিরকুমারী। স্বৰ্গীয় পিতার দুইলক্ষ টাকা আয়ের জমীদারীর সমস্ত অর্থই তিনি দীন দরিদ্রের দুৰ্দশামোচন ও অন্নসত্রের জন্য ব্যয় করিয়া থাকেন। সেদিন আকাশে ঘোর ঘটায় মেঘ করিয়াছিল। পূৰ্বরজনীতে প্রবল বারিপাত হইয়া গিয়াছে। বেলা নয়টা বাজিয়া গেল। অন্নসত্রের পাচকেরা তখনও রন্ধনশালায় দেখা দিল না দেখিয়া কৰ্ম্মচারী প্ৰমাদ গণিলেন। বাতাস ক্রমে প্ৰবলতর হইল। বর্ষণ তখনও থামিল না। বেদান্তবাগীশ প্রত্যুষে গঙ্গাস্নান ও পূজা আহিক সারিয়া অন্নসত্রে বসিয়া গল্প করিতেছিলেন। আজিকার মেঘমেদুর আকাশ দেখিয়া তিনি আর বিশ্বেশ্বর-দর্শনে গমন कर्बन नांशें । R}\9