পাতা:মহাকবি কালিদাসের গ্রন্থাবলী.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠঃ সগঃ । 86: উপেযুষ স্বামপি মূৰ্ত্তিমগ্র্যামন্ধাসনং গোত্রভিদোহধিতন্থেী ॥ ৭৩। জাতঃ কুলে তস্ত কিলোরুকীৰ্ত্তিঃ কুলপ্রদীপে নৃপতির্দিলীপ । অতিষ্ঠদেকোনশতক্রতুত্বে শক্রাভ্যহুয়াবিনিবৃত্তয়ে যঃ ॥ ৭৪ ॥ যস্মিন মহীং শাসতি বাণিনীনাং নিদ্ৰাং বিহারাদ্ধপখে গতানাম্। বাতোহপি নাক্সংসয়দংশুকানি কো লম্বয়েদাহরণায় হস্তম্ ॥ ৭৫ ৷ পুজো রঘুস্তস্ত পদং প্রশাস্তি মহাক্ৰতোবিশ্বজিত প্রয়োক্ত । চতুৰ্দিগাবর্জিতসত্তাং যে মৃৎপাত্ৰশেষামকরোদৃবিভূতিৰ্ম্ম ॥৭৬ আরূঢ়মন্দ্রীনুদধীন বিতীর্ণং ভুজঙ্গমানাং বসতিং প্রবিষ্টমৃ। উৰ্দ্ধংগতংযশু ন চাম্ববন্ধি যশঃ পরিচ্ছেজুমিয়ত্তয়ালম্ ॥ ৭৭ ৷ অসে কুমারস্তমজোহমুজাতন্ত্রিবিষ্টপম্ভেব পতিং জয়ন্তঃ। গুৰ্ব্বং ধুরং যে ভুবনন্ত পিত্রা ঘুর্য্যেণ দম্যঃ সদৃশং বিভৰ্ত্তি ॥ ৭৮ ৷ কুলেন কান্ত্যা বয়সী নবেন গুণৈশ্চ তৈস্তৈবিনয়প্রধানৈঃ । তৃমাত্মনস্তুল্যমমুং বৃণীঘ রত্বং সমাগচ্ছতু কাঞ্চনেন ॥ ৭৯ ৷ ততঃ মুনন্দাবচনাবসানে লজ্জাং তনুকৃত্য নরেন্দ্রকস্তা। দৃষ্ট্যা প্রসাদামলয়া কুমারং প্রত্যগ্রহীৎ সংবরণস্ৰজেব ॥ ৮• ॥ স যুনি তম্মিন্নভিলাষবন্ধং শশাক শালীনতয়া ন বত্তম। রোমাঞ্চলক্ষ্যেণ স গাত্ৰ্যষ্টিং ভিত্ত্বা নিরাক্রামদরালকেশ্যাঃ ॥ ৮১ ৷ তথাগতায়াৎ পরিহাসপূৰ্ব্বং সখ্যাং সর্থী বেত্রভূদাবভাষে। আর্য্যে! ব্ৰজামোহন্তত ইত্যথৈনাং বধুরন্থয়াকুটিলং দদর্শ। ৮২ ৷ সা চুর্ণগৌরং রঘুনন্দনন্ত ধাত্রীকরাভ্যাং করভো অহুরাঙ্গনাদিগের কপোলদেশ পত্ররচনা-বিহীন করিয়াছিলেন ॥ ৭২ ॥ তৎপরে দেবরাজ বৃষভরূপ পরিত্যাগ করিয়া স্বীয় প্রকৃষ্ট মূৰ্ত্তি ধারণ করিলে তিনি স্বকীয় অঙ্গদ দ্বারা বাসবের ঐরাবত-তাড়ন হেতু শিথিল-বন্ধ অঙ্গদ সত্তঘটিত করিয়া তদীয় সিংহাসনের অৰ্দ্ধাংশে উপবেশন করিয়ছিলেন ॥৭৩ সেই কাকুৎস্থ ভূপতির বংশে মহাযশা দিলীপ নামক এক রাজর্ষি জন্মগ্রহণ করেন, তিনি একোনশত অশ্বমেধযজ্ঞ সম্পন্ন করিয়া শততম যজ্ঞের অনুষ্ঠানে যে ক্ষান্ত হইয়াছিলেন, তাহা র্তাহার অসামর্থ্য প্রযুক্ত নহে; তাহা কেবল ইন্দ্রের অস্বয়া-নিবৃত্তির জন্যই হইয়াছিল ॥৭৪ ॥র্তাহার শাসনসময়ে মদমত্ত কামিনীগণ বিহারস্থলীর অৰ্দ্ধপথে নিদ্রিত হইলে সমীরণও তাহাদের বস্ত্র বিকম্পিত করিত না ; সুতরাং অপর ব্যক্তি বসনহরণার্থ কিরূপে হস্ত প্রসারণ করিবে । ৭৫ ৷ এক্ষণে র্তাহার পুত্র যুবরাজ রঘু তদীয় পদে অধিষ্ঠিত রহিয়াছেন, তিনি বিশ্বজিৎ নামক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়া চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে যে সকল সম্পত্তি সংগৃহীত ও সম্যক্ পরিবৰ্দ্ধিত করিয়াছিলেন, তৎসমস্তই দান করিয়া নিজে মৃন্ময় পাত্র অবশিষ্ট রাখিয়াছেন ॥ ৭৬ ॥ তাহার যশের ইয়ত্তা নাই, উহা পৰ্ব্বতে আরোহণ, মহাসাগরে অবগাহন, ভুজঙ্গদিগের বসতিস্থান পাতালে প্রবেশ এবং দেবলোকে গমন করিয়াছে ; ঐ যশ, ভূত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ তিন কালেই অবিচ্ছিন্ন ॥ ৭৭ ৷ জয়ন্ত যেমন স্বরপতি হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন, তদ্রুপ এই কুমার সেই রঘু হইতে জন্ম গ্রহণ করিয়ছেন। ইনি এক্ষণে শিক্ষণীয় অবস্থায় থাকিয়াও চিরধুরন্ধর পিতা রঘুরাজের স্তায় ভূমণ্ডলের অতি গুরুতর ভার ধারণ করিতেছেন ॥ ৭৮ ॥ এই রাজতনয় কুল, রূপ, লাবণ্য, নবীনযৌবন এবং সেই সমস্ত বিনয়প্রধান গুণসমুহ দ্বারা তোমার অনুরূপ ; অতএব তুমি ইহঁাকে বরণ কর ; রত্ন, কাঞ্চনের সহিত সম্মিলিত হইয়া শোভমান হউকু ॥ ৭৯ ৷ অনন্তর রাজকুমারী ইন্দুমতী সুনন্দার বচনাবসানে কুমারী জনস্থলভ লজ্জা সঙ্কোচ করিয়া প্রসন্নদৃষ্টিপাত করিলেন, তাহাতেই বোধ হইল, বেন তিনি সাক্ষাৎ স্বয়ম্বর-মাল্য দ্বারা তাহাকে প্রতিগ্রহ করিলেন ॥ ৮০ ॥ রাজকুমারী লজ্জাবশতঃ সেই যুবরাজের প্রতি সঞ্জাত অনুরাগ ব্যক্ত করিতে পারিলেন না বটে ; কিন্তু কুটিলকুন্তলা কুমারীর সেই অনুরাগ রোমাঞ্চচ্ছলে তদীয় শরীরষষ্টি ভেদ করিয়া প্রকাশিত হইয়। পড়িল ॥৮১ ॥ প্রিয়সখী ইন্দুমতী অজের প্রতি অনুরাগ স্থাপন করিয়া সেইরূপ অবস্থাপন্ন হইলে, সহচরী বেত্রধারিণী মুনা পরিহাস পূৰ্ব্বক বলিল, আৰ্য্য ! চল,এক্ষণে অন্ত-নৃপতির সন্নিধানে গমন করি। ইন্দুমতী এই কথায় রোষ-কুটিললোচনে তাহেেক নিরীক্ষণ করিলেন । ৮২ ॥অনন্তর করভ