পাতা:মহাকবি কালিদাসের গ্রন্থাবলী.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুবংশম্ । موا8 কথাঃ শ্রোত্ৰমুখাঃ কুমারঃ । উদভাসিতং মঙ্গলসংবিধাভিঃ সম্বাদ্ধনঃ সদ্ম সমাসসাদ ॥ ১৬ ॥ ততোহুবতীর্য্যাণ্ড করেণুকায়াঃ সকামরূপেশ্বরদত্তহস্তঃ । বৈদর্ভনির্দিষ্টমথো ধিবেশ নারীমনাংসাব চতুষ্কমন্ত ॥১৭। মহাৰ্হসিংহাসনসংস্থিতোহলে সরত্নমৰ্য্যং মধুপর্কমিশ্রমূ। ভোজোপনীতঞ্চ ছকুলযুগং জগ্ৰাহ সাৰ্দ্ধং বনিতাকটাক্ষৈ ॥ ১৮ ॥ দুকূলবাসাঃ স বধূসমীপং নিন্যে বিনীতৈরবরোধদক্ষৈ । বেলাসকাশ টুফেনরাজিনবৈরুদন্থানিব চন্দ্রপাদৈঃ ॥১৯ তত্ৰাচিতো ভোজপতেঃ পুরোধ। হুত্বাগ্নিমাজ্যাদিভিরগ্রিকল্পঃ । তমেব চাধায় বিবাহসাক্ষ্যে বপূৰ্বরে সঙ্গময়াঞ্চকার ॥ ২• ॥ হস্তেন হস্তং পরিগৃহ বধবাঃ স রাজস্থলুঃ সুতরাং চকাশে। অনন্তরাশোকলতাপ্রবালং প্রাপ্যেব চুতঃ প্রতিপল্লবেন ॥২১ আসীদ্বরঃ কণ্টকিত প্রকোষ্ঠঃ স্বিন্নাঙ্গুলিঃ সংববৃতে কুমারী। তম্মিন দ্বয়ে তৎক্ষণমাত্মবৃত্তিঃ সমং বিভক্তেব মনোভবেন ॥২২ তয়োরপাঙ্গপ্রতিসারিতানিবক্রিয়াসমাপত্তিনিবৰ্ত্তিতানি। জীযন্ত্রণামনাশিরে মনোজ্ঞামন্তোদ্যলোলানি বিলোচনানি ॥২৩ প্রদক্ষিণপ্রক্রমণাং কৃশানোরুদর্চিষস্তগ্নিখুনং চকাশে । মেরোরুপাস্তেখিব বর্তমানমন্যোন্তসংসত্তমহস্ত্র্যিামম্।। ২৪ ॥ নিতম্বগুবী গুরুণ প্রযুক্ত বধূবিধাতুপ্রতিমেন তেন । চকার সা মত্তচকোরনেত্রা লজ্জাবতী লাজবিসর্গমন্ত্রেী,২৫ হবিঃশমীপল্লবলাজগন্ধী পুণ্যঃ কৃশানোরুদিয়ায় ধূমঃ । কপোলসংসপিশিখং স তন্ত মুহূৰ্ত্তকর্ণোৎপলতাং প্রপেদে ॥২৬৷ তদ গুনক্লেদসমাকুলাক্ষং প্রমানবীজাঙ্কুরকর্ণপুরম্। বধুমুখং পাটলগণ্ডলেখমা জন্মান্তরের সন্মিলন অবগত হইতে পারে ॥১৫ রঘুনন্দন এই প্রকারে পরনারীগণের মুখনিঃস্থত স্বীয় প্রশংসা-সম্বলিত শ্রুতিকুখকর বাক্য শ্রবণ করিতে করিতে নানাবিধ মাঙ্গলিক উপচারে সুশোভিত ভোজরাজের ভবনে উপস্থিত হইলেন। ১৬ ৷ অনস্তর তিনি কামরূপাবিপতির হস্তধারণপূৰ্ব্বক ত্বরায় হস্তিনীর পৃষ্ঠ হইতে অবতীর্ণ হইয়া ভোজপ্রদর্শিত অন্তঃপুরচকুরে প্রবেশ করিলেন এবং সেই সঙ্গেই যেন কামিনীগণের হৃদয়মধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন ॥ ১৭ কুমার সেই চতুষ্কে মহামূল্য রত্নময় বিচিত্র সিংহাসনে উপবেশন করিয়া ভোজ-প্রদত্ত পট্টবস্ত্রযুগল, রত্নসমূহ এবং মধুপৰ্কসমন্বিত অৰ্ঘ্য গ্রহণ করিলেন। তখন অপর রমণীগণ র্তাহার প্রতি কটাক্ষপাত করিতে লাগিল ॥ ১৮। যেরূপ নবোদিত শীত-রশ্মির রশ্মি জাল শুভ্ৰ ফেননিচয়ে পরিব্যাপ্ত সমুদ্রকে বেলাসমীপে লইয়া যায়, সেইরূপ অন্তঃপুরনিযুক্ত বিনীত ভৃত্যগণ দুকূলধারী কুমারকে ইন্দুমতীর সন্নিধানে লইয়া গেল ॥ ১১ ॥ অনলসমতেজস্বী পূজনীয় ভোজপতির পুরোহিত বস্ত্ৰালঙ্কারে পরিতোষিত হইয়া ঘূতাদি দ্বারা দীপ্ত বছিতে যথাবিধি হোম করিয়া ও সেই হুতাশনকেই বিবাহের সাক্ষীস্বরূপ সংস্থাপন পুৰ্ব্বক বর ও বধূকে সংযোজিত করিয়া দিলেন। ২• ॥ স্বকীয় পল্লব দ্বারা সমীপবৰ্ত্তিনী অশোকলতার পল্লবধারণ করিয়া সহকারতরু যেরূপ অধিকতর শোভাশালী হয়, সেইরূপ রঘুকুলপ্রদীপ রাজকুমার আজও স্বীয় কর দ্বারা ইন্দুমতীর করকিসলয় ধারণ করিয়া অধিকতর শোভা ধারণ করিলেন। ২১ । তখন কুমারের প্রকোষ্ঠদেশ রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল এবং কন্দৰ্প যেন সেই সময়ে এই দম্পতীতে সাত্ত্বিকভাবরূপ আত্মকাৰ্য্য সমানভাগে বিভক্ত করিয়া দিলেন। ২২ ॥ বধু ও বরের পরস্পর সতৃষ্ণ দৃষ্টি একবার অপাঙ্গদেশে প্রতিসারিত হইয়াই ঈষদর্শনমাত্র প্রতিনিবৰ্ত্তিত হওয়াতে লজ্জা-নিবন্ধন এক প্রকার অনিৰ্ব্বচনীয় যন্ত্রণা-সঙ্কোচ অনুভব করিতে লাগিল ৷৷ ২৩ ৷ যেরূপ পরম্পর-সঙ্গত দিবস ও রাত্রি সুবর্ণময় সুমেরুপৰ্ব্বতের চতুর্দিকে পরিভ্রমণ করত তৎপ্রভায় উদ্দীপিত হয়, তদ্রুপ সেই পরস্পর-মিলিত বর ও বধূ উন্নত-শিখা-সম্পন্ন বহিকে প্রদক্ষিণ করিবার সময় তৎপ্রভায় বৰ্দ্ধিত কাস্তি হইলেন। ২৪ ॥ তৎপরে মত্তচকোরলোচনা গুরুনিতস্বিনী নববধু ইন্দুমতী, বিধাতৃতুল পুরোহিতের আদেশানুসারে সলজভাবে অনলে লাজাঞ্জলি নিক্ষেপ করিলেন ॥ ২৫ ॥ তখন হতাশন হইতে স্বত, শমীপল্লব এবং লাজের গন্ধবিশিষ্ট পবিত্র ধূম উখিত হইতে লাগিল ; উহার শিখা ইঙ্গু মতীর কপোলদেশে সংস্পর্শ হওয়াতে ক্ষণকাল কর্ণোৎপলতুল্য শোভা প্রাপ্ত হইল ॥২৬। সেই স্থ