পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র "לפא: করিয়া আবার কাশিমবাজার ফিরিয়া যাইবেন । কিন্তু হায়, কাহারও আশা পূর্ণ হয় নাই । গত কাৰ্ত্তিক মাসের শেষভাগে তাহার সামান্ত ম্যালেরিয়া জ্বর হয় । কয়েকদিন জ্বর ভোগের পর তিনি অত্যন্ত মানসিক অস্বচ্ছন্দতা ভোগ করিতে থাকেন । এবং বোধ হয় তিনি সেই সময় মনে মনে বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে তাহার দেহত্যাগের সময় নিকটবৰ্ত্তী হইয়া আসিয়াছে । তিনি এই সময় একবার কলিকাতায় আসিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ইহার কিছু পূর্বেই ২৭শে অক্টোবর তারিখে ৮৪ নং বেচু চাটার্জির ষ্ট্ৰীট হইতে প্রকাশিত “ভারতের সাধনা” নামক মাসিক পত্রের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত বিধুভূষণ দত্ত এম,এ মহাশয়কে এক পত্র লেখেন । তাহাতে তিনি নিজের সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন –

  • আমি কলিকাতায় কবে যাইব তাহ বলিতে পারিতেছি না }

vশারদীয়া পূজার সময় আমার জর হইয়াছিল শারিরীক বল এখনও পাই নাই ।” নিয়তির নিৰ্ম্মম বিধানে তিনি আর শারীরিক বল লাভ করিতে পারেন নাই। এই দুৰ্ব্বল শারীরিক অবস্থা হইতে তিনি ক্রমশঃ তুৰ্ব্বলতর অবস্থায় উপনীত হন। জন্ম, মৃত্যু জরা ব্যাধি, শোক তাপ জগতের ইহাই অবিনশ্বর নিয়ম। রাজা প্রজা ভেদে সকলেই প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর নিয়মের বশীভূত। জরা মরণশীল মানবের জীবন লইয়া অনাদি । কাল হইতে এইরূপেই নিয়তির কন্দুকক্রীড়া চলিতেছে—