পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S > মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র সময়ে তিনি যে তুঃখভোগ করেন তাহ আবর্ণণীয়। র্যাহার জন্য ভগবান রাজাসুখ নিৰ্দ্ধারণ করিয়া রাখিয়াছেন—ভবিয়াতে যিনি মহারাজা হইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ অন্নহীনের মুখে অন্ন, তৃষ্ণতুরের মখে জল দান করিয়া বিধাতার শুভ ইচ্ছা পূর্ণ করিবেন, আজ তিনিই একমষ্টি অন্নের প্রত্যাশী—ইহা অপেক্ষ বিস্ময়ের বিষয় আর কি হইতে পারে ! কাশিমবাজার রাজবাটীতে অবস্থানকালীন বাজবাড়ীর সামান্য ভৃত্য পর্য্যন্তও মণীন্দ্রচন্দ্রকে প্রীতির চক্ষে দেখিতে পারিত না । ‘পরাণ খানসামা’ নামক একজন ভূত্য মহারাজের প্রতি তৎকালে বিশেষ বিদ্বেষপরায়ণ ছিল । ভূত্য হইলেও রাজসংসারে পরাণের কিছু প্রতিপত্তি ছিল এবং বোধ হয় সেই জন্যই তুচ্ছ ক্ষমতার অহঙ্কারে পরাণ মণীন্দ্রচন্দ্রকে প্রীতির চক্ষে দেখিত না । উত্তরকালে মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র এই পরাণকেই আপনার প্রধান খানসাম নিযুক্ত করিয়া তাহার তীব্র প্রতিশোধ লইয়া ছিলেন । কলিকাতায় অবস্থানকালে মণীন্দ্রচন্দ্র বাগবাজারের সুপ্রসিদ্ধ পশুপতি বস্তু মহাশয়ের বাটীতে আহার করিতেন । বি, এ, পাশ করিলেও কলিকাতায় বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতার সুবিধা না পাইলে উপযুক্ত কাৰ্য্য পাওয়া সহজ নহে। মণীন্দ্রচন্দ্র কোন প্রকার চাকুরী বা উপার্জনের পন্থাও অবলম্বন করিতে পারেন নাই । দুঃখ যখন আসে তখন মুখের ধারণা