পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ञांख्ञT ढलांडळ ২৩ মহারাণী স্বর্ণময়ী মহারাণী স্বর্ণময়ীও সামান্ত গৃহস্থের কন্যা । বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত কোন ক্ষুদ্র পল্লীগ্রামে এক দরিদ্র দম্পতির কোল আলো করিয়া এই রাজগুণসম্পন্না মহিয়সী মহিলা জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। কপালে র্তাহার রাজটীকা দিয়া বিধাতা তাহাকে নিখিল হৃদয়ের আরাধ্যা দেবী করিয়া মৰ্ত্তো প্রেরণ করিয়াছিলেন। তাই রাজা লোকনাথ অদৃষ্ট পুরুষের অলক্ষিত ইঙ্গিতে পরিচালিত হইয়া সমগ্র বাংলা দেশের মধ্য হইতে এই ক্ষুদ্র পল্লীর প্রফুল্ল সরোজসদৃশ রমণীরত্নকে “স্ত্রীরত্বং তুস্কুলাদপি” শাস্ত্র বাক্যানুযায়ী সামান্ত গৃহস্থের কুটার হইতে পরম সমারোহ ও সমাদরের সহিত আনয়ন করিয়া সিংহাসনের ভাবী উত্তরাধিকারিণীর অধিকার দান করিয়া যান। মহরাণী স্বর্ণময়ীও আপনার হৃদয়ের অতুল এবং অফুরন্ত করুণা এবং মহত্ত্ব নির্বিবশেষে প্রার্থী জনগণের মধ্যে বিতরণ করিয়া সকলের শ্রেষ্ঠ কৃতজ্ঞতা অর্জন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। দান, ধ্যান, পরোপকার প্রভৃতি দ্বারা তিনিও সমগ্র দেশের যে কৃতজ্ঞতা অর্জন করিয়া গিয়াছেন তাহা তাহার পরবত্তী কোন জমীদারই অর্জন করিতে পারেন নাই । মহারাণী ভবানীর ন্যায় তিনিও বাল-বিধবা ছিলেন । র্তাহার স্বামী রাজা কৃষ্ণনাথ (মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্রের মাতুল ) অজানিত কারণে অতি তরুণ বয়সে আত্মহত্যা করেন । যখন তিনি আত্মহত্যা করেন তখন নানা আভ্যন্তরীণ কারণে রাজ