পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গভঙ্গে মহারাজা Woo, অপরাপর সাধারণ যোগদান করিয়া সভাগৃহকে একটি বিশাল । জনসমুদ্রে পরিণত করিয়া ফেলেন। স্বগীয় মহারাজা লর্ড কুর্জনের কার্য্যের প্রতিবাদে যে তেজস্বিনী বক্তৃতা প্রদান করিয়াছিলেন তাহার কতকটুকু মূল ইংরাজী ও বাংলা উভয় অংশই আমরা পাঠকগণের অবগতির জন্য এই পুস্তকে সন্নিবিষ্ট করিলাম। এইবক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম স্বদেশী গ্রহণ ও বিদেশী বর্জনের প্রস্তাৰ উত্থাপন করেন এবং গভর্ণমেণ্টের অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ দেশবাসীকে একান্ত ও অনন্যচিত্ত হইয়া বিদেশী দ্রব্য সম্পূর্ণ বর্জন (Boycoli of foreign goods। করিয়া স্বদেশ জাত দ্রব্য আদর করিয়া গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন । র্তাহার এই স্থযুক্তিপূর্ণ অনুরোধ পালন করিবার জন্ত দেশবাসিগণ একান্ত যত্নপর হইয়া উঠেন। তখন স্থানে স্থানে ‘বিদেশীবর্জন প্রচার করিবার জন্য সভা সমিতি আরম্ভ হয় । নগর-সংকীৰ্ত্তন ও মাতৃবন্দনার গানে অৰ্শকের গুড়ের হরিরলুট হইতে থাকে। বাঙ্গলার সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক এবং পৃথিবীর অদ্বিতীয় বক্তা মুরেন্দ্রনাথ’ আসমুদ্রহিমাচল ভারতবর্ষে মাতৃ সাধনার মূলমন্ত্র বিদেশীবর্জন প্রচার করিয়া বেড়াইতে থাকেন। বাংলার কবি তখন গ্রামে গ্রামে গাহিয়া বেড়াইতে লাগিলেন – “মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই ।”