পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদনার তপণ Q সঙ্গীত গায়—বাঙ্গালা দেশের বুকে আর কত সয় । আর কত সয় !! মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র এদেশে ভগবানের চরম এবং পরম আশীৰ্ব্বাদের ন্যায় আসিয়াছিলেন । যুগধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়া প্রকৃত শ্রদ্ধাসূচক সম্বোধন করিতে হইলে তাহাকে যুগাবতার বলিতে হয়। এবং তাহাতে সত্যের কিছুমাত্র অপলাপ করা হয় না । যুগ এই শ্রেষ্ঠরত্ব বাঙ্গলা দেশের জন্য উপহার আনিয়াছিল। অভিশপ্ত বাঙ্গালী জাতি সত্য সাধনা এবং যুগধৰ্ম্ম হইতে ভ্ৰষ্ট হওয়ায় এই মহনীয় রত্ন জাতির অন্তঃস্থল হইতে অন্তৰ্হিত হইয়৷ গেল। গৌরবের আলোকচ্ছটা নিভিয়া গিয়াছে অদূর ভবিষ্যতে আবার সেই আলোকরশ্মি ফুটিয়া উঠিবে কিনা কে বলিতে পারে! জন্ম কথা ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে এক দরিদ্র দম্পত্তির আশার আলোক উজ্জ্বল করিয়া প্রাচীন গৃহের ভগ্ন দেউলের ছিন্ন ছায়াতলে রমণীগণের উলুধ্বনির কোলাহলে মনীন্দ্রচন্দ্র ভূমিষ্ট হন। কে জানিত এই অনাড়ম্বড়-জাত শিশু একদিন দেশের ও দশের মধ্যে বরেণ্য—শুধু বরেণ্য নহেন প্রাতঃস্মরণীয় হইবেন! কে জানিত এই দরিদ্রের কোল আলো করা শিশু উত্তরকালে একদিন সমগ্র দরিদ্রের দুঃখ মোচনের জন্য ধন, মান, জীবন উৎসর্গ করিবেন! কে জানিত জগতের মঙ্গল কৰ্ত্তা, বিশ্বহিতের জন্য এই শিশুর বুকে সমস্ত দরিদ্রের ব্যথা বুঝিবার শক্তি দিয়া