পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«zes be too অস্বাভাবিক নহে। নাটকীয় পাত্ৰগণের দুই একটী কথা। আপত্তিজনক থাকিতে পারে, কিন্তু প্ৰস্তাবিত বিষয়টা বিন্দুমাত্র অস্বাভাবিক হয় নাই । “একেই কি বলে সভ্যতা”র স্থায় ইহাও মধুসুদন তাহার কোন কোন পরিচিত ব্যক্তির চরিত্র অবলম্বনে রচনা করিয়াছিলেন । তাহার কোন নিকটসম্পৰ্কীয় আত্মীয় ভক্তপ্ৰসাদরূপে কল্পিত হইয়াছিলেন, এবং হানিফগাজী, পাচীতেলিনী প্ৰভৃতি নামগুলিও তাহার স্বগ্রামের কোন, কোন স্ত্রী পুরুষের নাম হইতে অবলম্বিত হইয়াছিল। বঙ্গদেশের স্থানে স্থানে, এইরূপ ভক্তপ্ৰসাদগণ এখনও রাজত্ব করিতেছেন। উপধৰ্ম্মের আক্রমণে হিন্দুধৰ্ম্মের যে ক্ষতি না হইয়াছে, হিন্দুনামধারী এইরূপ ভক্ত প্ৰসাদগণের দ্বারা তাহার অপেক্ষা শতগুণ অধিক ক্ষতি হইতেছে । ইহারা, হিন্দুসমাজের অভ্যন্তরে কীটরাপে প্ৰবেশ করিয়া, তাহাকে দিন দিন অন্তঃসারশূন্য করিয়া ফেলিতেছে। নব্য সম্প্রদায়ের শাসনের জন্য যেমন একেই কি বলে সভ্যতার ন্যায় গ্রন্থের আবশ্যক, তেমনই এই রূপ ভক্তপ্ৰসাদগণেরও দণ্ডের জন্য বুড়োশালিকের ঘাড়ে রোয়ার ন্যায় প্রহসনের প্রয়োজন। নাটকাংশে বিচার করিলে বুড় শালিকের ঘাড়ে রোয়া একেই কি বলে সভ্যতা হইতে নিকৃষ্ট । বুড়শালিকের ঘাড়েরোয়ার শেষাঙ্কে ভক্তপ্ৰসাদের সহিত ফাতিমার ও হানিফের ধীরতার সহিত ব্যঙ্গ, এবং গদা ও তাহার গুণবতী পিতৃঘসার কথোপকথন অস্বাভাবিক বলিয়া ৰোধ হয়। কিন্তু গ্রন্থের মূল বিষয় নৈপুণ্যের সহিত চিত্রিত হইয়াছে বলিয়া এই সকল ক্ৰটি সাধারণ পাঠকের দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয় না। মধুসূদনের প্রহসন দ্বয়ের প্রধান দোষ এই যে, তাহদিগের অনেক স্থান অশ্লীলতা-দোষে দুষিত । চরিত্র-চিত্রণ সম্বন্ধে যথেষ্ট দক্ষতা প্ৰদৰ্শন করিলেও মধুসূদন অশ্লীলতা দোষ পরিহার করিতে পারেন নাই। তবে তাহার সমর্থনের জন্য একথা বলা যাইতে পারে যে, তাহার অশ্লীলতা অসৎ প্ৰবৃত্তি উদ্রেকের জন্য নয়। শারীরস্থানবিদকে