মাঘোৎসবের উপদেশ শরীরে সর্বদাই কতকগুলি কাৰ্য চলিতেছে। প্ৰথম কাৰ্য, সেখানে মৃত্যুর কিঙ্কর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু সকলের সহিত নিরন্তর সংগ্রাম চলিতেছে। বর্তমান কালের বিজ্ঞান প্ৰকাশ করিয়াছে যে, আমাদের দেহ সর্বদা জীবন ও মৃত্যুর অনুকুল পদার্থ-সকলের মধ্যে বাস করিতেছে। ইহাদিগকে জারুম বা মৌলিক অণু বলা যাইতে পারে। মৌলিক অণু সকল আমরা ইন্দ্ৰিয়সকলের দ্বারা নিরন্তর দেহ-মধ্যে গ্ৰহণ করিতেছি। যতক্ষণ দেহে স্বাস্থ্য আছে, ততক্ষণ দেহের আভ্যন্তরীণ শক্তি-সকল বা জীবনানুকূল অণুসকল সেই মরণানুকূল অণুর সহিত সংগ্ৰাম করিয়া তাহাদিগকে পরাভব করিতেছে। এই পরাভবই স্বাস্থ্যের লক্ষণ ও স্বাস্থ্যের কারণ। আমরা দেহ হইতে এক বিন্দু রক্ত লইয়া অণুবীক্ষণ-সাহায্যে দেখিলেই দেখিতে পাইব যে, জীবনমৃত্যুর এই সংগ্রাম ঐ এক বিন্দু রক্তের মধ্যে নিরন্তর চলিতেছে। অতএব স্বাস্থ্যের এক লক্ষণ এই সংগ্ৰাম । স্বাস্থ্যের দ্বিতীয় লক্ষণ, যেখানে স্বাস্থ্য সেইখানেই ভোগের শক্তি । যতক্ষণ তোমার স্বাস্থ্য আছে, ততক্ষণ তোমার জন্য জগতের ধন ধান্য, শোভা সৌন্দৰ্য, সুস্বর সুরস, সকলি আছে। স্বাস্থ্য হারাও, এ-সকল থাকিয়াও আর তোমার পক্ষে থাকিবে না । বরং যাহা এক সময় আনন্দ शिांछिन, उफू। বিরক্তির কারণ হইবে । সুমিষ্ট সংগীত হইতেছে, তোমার মনে হইবে, “ভ্যাঃ, থামলে বাচি ।” রসাল খাদ্য আসিবে, তোমার মুখে তুলিতে ইচ্ছা হইবে না। অপর দিকে দেখ, স্বাস্থ্যে প্ৰফুল্প বালকটি আপনার ভোগশক্তি ও রসগ্ৰাহিতাকে যেন ধরিয়া রাখিতে পারিতেছে না- সে হাসিতেছে, নৃত্য করিতেছে, ছুটিতেছে, কুকুরটির গলা জড়াইতেছে, ফুলটি লইয়া শুকিতেছে, অপরকে শুকাইতেছেতাহার আনন্দ উথলিয়া উঠিতেছে, অপরের মনকেও প্লাবিত করিতেছে। অতএব, যেখানে স্বাস্থ্য সেইখানেই ভোগের প্রবৃত্তি ও ভোগের শক্তি । SRV7