পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नौ ছেলেমেয়ের সার্থী আছে, বিধানের জন্মের সময় মন্দা যে কোলের ছেলেটিকে লইয়া কলিকাতায় গিয়াছিল। তার নাম অজয়, সকলে “আজু’ বলিয়া ডাকে, বিধানের সঙ্গে তাহার খুব ভাব হইয়া গেল। অজয় এক ক্লাশ নিচে পড়ে। পড়াশুনায় বিধান বড় ভাল, মন্দার ছেলেদের মাস্টার একদিন বিধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া এই রায় দিয়াছেন। মন্দা জানিয়া খুশী হইয়াছে, বিধান কলকাতার ছেলে বলিয়া অজয়ের সঙ্গে তাহার ঘনিষ্ঠতায় মন্দার যেটুকু ভয় ছিল, মাস্টারের মন্তব্য শোনার পর আর তাহা নাই । সুপ্ৰভা বকুলকে ভালবাসিয়া ফেলিয়াছে। বলে—কি মেয়ে আপনার বৌদিদি, দিয়ে দিন মেয়েটাকে আমাকে, দেবেন ? বলে-মেয়ে বলে ওকে কিছু শেখাচ্ছেন না, এ তো ভাল কথা নয় ? আজকালকার দিনে লেখাপড়া গানটান না জানলে কে নেবে মেয়েকে ? একটু একটু সবই শেখাতে হবে ঠাকুরবি । সুপ্ৰভাই উদ্যোগ করিয়া বকুলকে মেয়েস্কুলে ভর্তি করিয়া দিল বলিল, স্কুলের মাহিনা সে-ই দিবে। গানটান শিখাইবার যখন উপায় নাই, লেখাপড়াই একটু শিখুক। বকুলকে সে যত্ন করে, লুকাইয়া ভাল জিনিস খাইতে দেয়, যে সব জিনিস শুধু মন্দা ও তার ছেলেমেয়ের জন্য বরাদ। কিন্তু এক বকুল ওসব খাইতে uBB DS DBBS DBBBD DBDS DDBB DBDS S DBB BDBBSDD DDD S uB DS কি নিঃস্বার্থপর মেয়েটার মন ? যেমন দেখিতে সুন্দর, তেমনি মিষ্টি স্বভাব, ও যেন রাজরানী হয়। ভগবান। রাজরানী ? এতবার সুপ্ৰভা এই আশীর্বাদের পুনরাবৃত্তি করে-কেন, বকুলকে রাজরানী করিতে এত তাহার উৎসাহ কিসের ? রাজরানী হওয়ার সখ ছিল নাকি সুপ্রভার, মনে সেই ক্ষোভ রহিয়া গিয়াছে ? কিছু বুঝিবার উপায় নাই। সুপ্ৰভাকে অসুখী মনে হয় কদাচিৎ। চুপচাপ বসিয়া সে অনেক সময়ই থাকে, সেটা তার স্বভাব, মুখ তাহার সব সময় বিমর্ষ দেখায় না, চোখে তাহার সব সময় ঘনাইয়া আসে না উৎসুক দিবা-স্বপ্নাতুরার দৃষ্টি। তবু শ্যামা মাঝে মাঝে সন্দেহ করে। অতি যার রূপ সে কি একেবারেই নিজের মূল্য জানে না, কুমারী জীবনের আশা কি সে করে নাই, কল্পনা কি তার ছিল না ? বুড়া বয়সে রাখাল যখন তাহাকে বিবাহ করিয়া তিন পুত্রের জননী সতীনের সংসারে voe