পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अबौ झूल, उांद्र (6थigन 6कन भी ? घब बां७ । -এখানে শুইনো আমি ?-বকুল বলে। শ্যামা ভয় পাইয়া সুপ্রভার মেয়েকে ডাকিয়া আনে। সে টানাটানি করে, বকুল যাইতে চায় না, শ্যামার বুকের মধ্যে চিপ টিপ করিতে থাকে। শেষে ধৈৰ্য হারাইয়া শ্যামা দাঁতে দাত ঘষিয়া বলে,-পোড়ারমুখি কেলেঙ্কারি করে সকলের মুখে তুই চুনকালি দিবি ? যা—বলছি যা, মেরে ছেচে ফেলব তোকে আমি । সুপ্রিভার মেয়ে বলে—আহা মামী, বাকো না গো, যাচ্ছে । তারপর বকুল উঠিয়া যায়। শুমা চুপ করিয়া তক্তপোষে বসিয়া ভাবে। নানা কারণে সে বড় বিষাদ বোধ করে । কে জানে কি আছে মেয়েটার মনে। পূজার সময়, চারিদিকে আনন্দ উৎসব, বিধানও কাছে নাই যে ছেলের মুখ দেখিয়া মনটা একটু শান্ত হয়। ছেলে বড় হইয়াছে তাই আর কলেজ ছুটি হইলে ছুটিয়া মার কাছে আসে না, বন্ধুর সঙ্গে বেড়াইতে যায়। শীতল বোধ হয় বাহিরে তাসের আডিডায় বসিয়া আছে, শ্যামার বাৱণ না মানিয়া সে আজ সিদ্ধি গিলিয়াছে একরাশি । কে আছে শ্যামার ? সরাদিনের খাটুনির পর শরীর শ্ৰান্ত অবসন্ন হইয়া আসিয়াছে, মনের মধ্যে একটা দুঃসহ ভার চাপিয়া আছে, কত যে এক আর অসহায় মনে হইতেছে নিজেকে, সেই শুধু তা জানে, এতটুকু সাস্তুনা দিবারও কেহ নাই। ভাল করিয়া আলো হওয়ার আগে উঠিয়া শ্যামা বকুলের ঘরের দরজায় চোখ পাতিয়া দাওয়ায় বসিয়া রহিল। বকুল বাহির হইলে একবার সে তাহার মুখখান দেখিবে । খানিক বসিয়া থাকিয়া শুমার লজ্জা করিতে লাগিল, এদিক ওদিক সে একটু ঘুরিয়া আসিল, পুকুর ঘাটে গিয়া মুখে চোখে জল দিল। এও এক শরৎকাল, শ্যামার জীবনে এমন কত শরৎ আসিয়া গিয়াছে। পুকুরের শীতল জল, ঘাসের কোমল শিশির শ্যামার মুখে আর চরণে কত কি নিবেদন জানায়। সে কি একদিন বকুলের মতো ছিল ? কবে ? তারপর ভিতরে গিয়া শ্যামা দেখিল, বকুলের ঘরের দরজা খোলা। কিন্তু বকুল কোথায় ? শ্যামা এদিক ওদিক তাকায়, সন্মুখ দিয়া পাৱ হইয়া যাওয়ার সময় ভিতরে চাহিয়া দেখে মশারি তোলা, বিছানা খালি, বকুল বা মোহিনী কেউ ঘরে নাই। এত ভোরে কোথায় গেল ওৱা ? শ্যামা গালে হাত দিয়া st)