পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী निख्रिङ निश्च द्रक्षेित् । রান্নাঘরের পাশ দিয়া চোরের মতো বাড়িতে ঢুকিয়া শ্যামাকে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া দুজনেই তাহারা লজ্জা পাইল। মোহিনী ঘরে চলিয়া গেল। বকুল স্নাথ পদে মার কাছে আসিল । —কোথা গিয়েছিলি বকুল ? বকুল কথা বলে না। পাশে বসাইয়া শ্যামা একটা হাতে তাহাকে বেষ্টন করিয়া থাকে। তাই বটে, তেমনি রাঙা বটে। বকলের মুখ, ঢেকিঘরে সেদিন শ্যামা যেমন দেখিয়াছিল। শুধু আজ ওর চােখ দুটি ছলছল নয়। দশমীর দিন বেলা দশটার সময় অপ্রত্যাশিত ভাবে বিধান আসিল । শ্যামা আনন্দে অধীর হইয়া বলিল-তুই যে চলে এলি খোকা ? মন টিকিল। না বুঝি সেখানে তোৱ ? হঠাৎ শ্যামার মন হালকা হইয়া গিয়াছে। সেদিন সঙ্গে বেড়াইয়া আসিয়া বকুলের মুখ যে রাঙা হইয়াছিল তা দেখিবার পরেও শ্যামার মন কি ভার হইয়াছিল ? হইয়াছিল বৈকি। শ্যামার ভাবনা কি শুধু বকলের জন্য। এমনি শরৎকালে যাকে শ্যামা কোলে পাইয়াছিল, সোনার টুকরার সঙ্গে লোকে যাকে তুলনা করে, তাকে না দেখিলে শ্যামার ভাল লাগে না । মোহিনীর জন্য মাছ মাংস রাধিতে রাধিতে উন্মনা হইয়া চোখের জল সে ফেলিয়াছিল কার জন্য ? বিধান আসিয়াছে। আর শ্যামার দুঃখ নাই। পৃথিবীতে শরৎ আসিয়াছে হাসির মতো, এতদিন শ্যামা হাসিতে পারে নাই। এবার শ্যামার মুখেও হাসি ফুটিয়াছে। পরদিন বকুলকে বিদায় দিয়াও শ্যামার মুখ তাই বেশিক্ষণ স্নান রহিল। না । ৱাল্লা ঘরে গিয়া তার কাছে পিড়ি পাতিয়া বিধান বসিতে না বসিতে কখন যে সে ভুলিয়া গেল মেয়ের বিরহ । ») 098