পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांगिक aश्ॉयन्नौ আসিয়াছে সন্দেহ নাই, কিন্তু রাত বারোটা বাজিতে না বাজিতে ফিরিয়া আসিয়াছে কেন ? কি কাণ্ড করিয়া আসিয়াছে দু’জনে কে জানে । আলিসায় বসিয়া একজন বিড়ি টানিতেছিল, বলিল, “বড় গরম, না চাদের মা ?” যশোদা ঠাহর করিয়া দেখিল, তার অন্য বাড়ীর ভাড়াটে জগৎ । একটু আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, “তুমি এ বাড়ীতে ঢুকলে কখন ?” জগৎ বলিল, “মতি আর সুধীর দরজা খোলার জন্যে ডাকছিল, শুনতে পেয়ে বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে । ভাবলাম কি, তোমার এ বাড়ীর ছাতে যদি একটুকু হাওয়া পাই, তা শালার হাওয়া কই । ই কি গুমটো গরম গো চাদের মা, এ্যা ?” যশোদা কাছে আগাইয়া গেল, “গরম তো বটে, কিন্তু তোমার কি চোখে ঘুম নেই, রাতদুপুরে বসে বসে বিড়ি টানছ ? সকাল সকাল যেতে হবে না। কাজে ?? “ঘুম না এলে করব কি বল ? ঘরে গরমে সিদ্ধ করে দিল, ছাতে এলাম, তা এখানে যেমনি গরম তেমনি মশা ।”-বিড়িটা ছুড়িয়া ফেলিয়া কঁধের কাছে সশব্দে চড় মারিয়া জগৎ মশা মারে ; গরমটা যশোদা নিজেও অনুভব । করিতেছে, মশার উৎপাতিও যে কম নয়। তারাও তো একটা প্ৰমাণ দেওয়া চাই ! আলিসায় ভর দিয়া যশোদা কিন্তু ভাবে যে, কে জানে গরম আর মশা-ই তোমায় জাগিয়ে রেখেছে না। কারুর কথা ভেবে তোমার চোখে ঘুম নেই। “দেশে মশা নেই তোমাদের ?” ‘আছে না ? মানুষ টেনে নিয়ে যেতে পারে এমন মশা ।” “আমায় টেনে নিতে পারবে না, কি বল ? তেমন গতরা আমার নয়।’ বলিয়া আলিসায় ঠেসান দিয়া যশোদা একটু হাসিল। মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ অকারণে নিজের দেহের বিপুলতার কথাটা যশোদার মনে পড়িয়া যায়। ক্ষীণ চাদের আলোয় ঘুমন্ত মানুষগুলিকে আবছা দেখা যাইতেছিল। সকলেই ঘুমের মধ্যে অল্প-বিস্তর নড়িতেছিল, কেবল মতি আর সুধীর মটকা মারিয়া থাকায় দু’জনে হইয়াছিল কাঠের মুক্তির মত স্থির। ‘গতির বড় হলে গরমটা বেশী লাগে, না জগৎ ? সবাই ঘুমুচ্ছে স্থাখো, আমার গরমে প্ৰাণটা বেরিয়ে গেল।” “গতরের জন্যে নয়, গরমটা সত্যি যেন কেমন খারাপ হেথা, গায় সয় না । &Q8