পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী মতির চুল প্ৰায় সাদা হইয়া আসিয়াছে, কুলী মজুৱও তাকে ঠিক বলা DD DDSDDDS DLDBB DD BJ SBDB BDDBDBB tB DBDBDBS BBKB ও সংখ্যা আঁকিয়া দেওয়া তার কাজ । সে নােম ধরিয়া ডাকিলে যশোদার রাগ করা উচিত নয়, সব সময় রাগ সে করেও না। কিন্তু যশোদার মেজাজ বোঝা ভার। হাসি ও প্রশ্নে মতি কাবু হইয়া পড়ায় যশোদা নিজেই আবার বলিল, “আমাকে ডাকৃছি নাকি যশোদা বলে ? কােল একপেট গিলে সাহস বেড়ে গিয়েছে, নয় ? সবাই চাদের মা বলে, তুমিও না হয় তাই বললে । একবার বলোতে কেমন শোনায় দেখি ?” মাতি ভয়ে ভয়ে বলিল, “ভাত হয়নি চাদের মা ?” যশোদা বলিল, “ভাত হবে না কেন, তোমরা এবেল পাবে না। ভাত । চান করে মাথা ঠাণ্ড করে নিয়ে ছুটে যাও দিকি কাজে, কাজে না গেলে একটি বেলাও ভাত জুটবে না মতি।” কাজ গেলে যে যশোদাই তাকে দু’বেলা ভাত জোগাইবে যতদিন আবার কাজ না হয়, মতিও তা জানে যশোদাও জানে । তবে সেটা তর্কের বিষয় নয়, মতি ও সুধীর কথা না বলিয়া নীচে চলিয়া গেল । এখানে বাস করিলে মদ খাওয়া চলিবে না । এই ধরণের একটা নিয়ম যশোদা করিয়া রাখিয়াছে কিন্তু নিয়মটা ভাঙ্গিলেই সে যে সব সময় শান্তির ব্যবস্থা করে তা নয় । এদের জীবনের সঙ্গে যশোদার পরিচয় আছে, জীবনের যে স্তরে যে পারিপাৰ্থিক অবস্থার মধ্যে এরা বাস করে তাও তার অজানা নয়। কঠোর নিয়ম করিলে চলিবে কেন ? কে সে নিয়ম মানিয়া চলিবে ? কি দরকার সে নিয়ম মানিয়া চলিবার জীবন যাদের সবদিক দিয়া ফাকিতে ভরা ? কেবল একটা বিষয়ে সাধু হইলেই কি দিনগুলি ওদের সুখে আর আরামে ভরিয়া উঠিবো! অতিরিক্ত অবিশ্রাম খাটুনি, পেটভরা খাদ্য আর বিরাম ও আরামের অভাব, সমস্তই যাদের বিষের সমান, দু-এক চুমুক বাড়তি বিষ পান করিলে, তাদের কি আসিয়া যায়। কেবল বাড়াবাড়িটা রদ করিবার জন্য যশোদা মাঝে মাঝে রাগ দেখায়, শান্তি দেয়, তবে শান্তিটা হয় একটু খাপছাড়া ধরণের, যেন দুরন্ত ছেলেকে শাসন করিতেছে এমনি । নীচে নামিয়া রান্নাঘরে ঢুকিয়া যশোদা ডাক দিল, “নন্দ, একটু পরিবেশন ՀՀԿ