পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाषिक शबर्नौ এসব বিকারগ্ৰস্ত মানুষের অপমান যশোদা সহজে গায়ে মাখে না, সে হাসিয়া বলে, “নতুন বৌ বলেই তো চেনা করা। ভয় নেই গো দিদি, বৌকে তোমাদের চুরি করে নিয়ে পালাব না।” যশোদা উপরে উঠিতে থাকে, সুধীরা বোনকে ডাক দিয়া বলে, “সুবর্ণ ও সুবৰ্ণ ?-ও বাড়ীর যশোদা বোঁ দেখবে, নিয়ে যা তো সঙ্গে করে বৌ-এর কাছে।” যশোদা কতবার এ বাড়ীতে আসিয়াছে, পথ চিনিয়া সে কি যাইতে পরিবে না উপরে, দোতলার দু’খানা ঘরে খুজিয়া পাইবে না। নতুন বেী অপরাজিতাকে ? সাজগৃহিণীদের গিল্পীপনার মানে বোঝা সত্যই কঠিন। বাড়ী ফিরিয়া যশোদা দেখিল, মোটে তিনটি এটো থালা পড়িয়া আছে, আরও দু’জন খাইতে বসিয়াছে এবং তাদের জন্য নতুন করিয়া ভাত বাড়িতে নন্দ একেবারে १ांला यन् । “আরো নিষ্কৰ্ম্মার টেকি, হাতায় ক’রে হাড়ি থেকে ভাত তুলে থালায় দেবে, তাও পার না ? পালা তুই, ভাগ ।।’ নন্দকে রেহাই দিয়া যশোদা জিজ্ঞাসা করিল, “কে কে খেয়েছে রে নন্দ ? নন্দ গড়গড় করিয়া বলিয়া গেল, “কেষ্ট, বলাই আর যতীন।” যশোদা একটু আশ্চৰ্য হইয়া বলিল, “মতি আর সুধীর খায় নি ? কি হ’ল। তবে আর দু’থালা ভাত, বেড়ে যে রেখে গেলাম পাচ থালা ?” নন্দ বিব্রত হইয়া এদিক ওদিক তাকায়, “ওই তো খেয়ে গেল ওরা ।” কোৱা ? মতি আর সুধীর ? go “এটো থালা গেল। কই ?” যশোদার জেরায় কাবু হইয়া এবার নন্দ সব বলিয়া ফেলে। মতি আর সুধীরের ভাত খাওয়া শেষ হওয়া মাত্র সুধীর তাড়াতাড়ি এটো কাঠা সাফ করিয়া থালা দু’টি মাজিয়া ধুইয়া রাখিয়া গিয়াছে আর নন্দকে বলিয়া গিয়াছে অনেক করিয়া, সে যেন যশোদকে না বলে । “খুব বুদ্ধিমান তো সুধীর !-তুই না বললেও টের পেতে যেন আমার বাকী থাকত।’ বলিয়া যশোদা হাসিল । তারপর গম্ভীর হইয়া ভৎসনার সুরে বলিল, “পেটের জালায় ওরা না হয় বারণ ez