পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांशिक यंहांदनी সত্যপ্রিয় হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিল, ‘ওরা বুঝি তোমায় পাঠিয়েছে ?” যশোদা বলিল, “না ।” সত্যপ্রিয় এতক্ষণ অন্যদিকে চাহিয়াছিল, কথা বলিবার সময় সে কদাচিৎ শ্রোতার মুখের দিকে তাকায়। এবার যশোদার চােখে চােখ মিলাইয়া সে খানিকক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকাইয়া রহিল, তারপর মৃদুস্বরে বলিল, “অন্য কেউ একথা বললে বিশ্বাস করতাম না। চাঁদের-মা। তবে তোমার কথা আলাদা । তুমি कथं ९िथंJ व् ब् |° সত্যপ্রিয়ের দৃষ্টি দেখিয়া যশোদা এক মুহূৰ্ত্তের জন্য শিহরিয়া উঠিয়াছিল। যশোদার স্বায়ুগুলি এরকম শিহরণের উপযোগী করিয়া তৈরী হয় নাই ; রাতদুপুরে হঠাৎ বাড়ীর অন্ধকারে একটা ভূত দেখিলেও সে ভাল করিয়া চমকাইয় ওঠে কিনা সন্দেহ। কিন্তু সত্যপ্রিয়ের দৃষ্টিতে যে-ভাষা তার স্পষ্ট চােখে পড়িয়াছে ভূত দেখার চেয়ে তা চমকপ্ৰদ । ধনঞ্জয়ের চোখে একদিন যশোদা এ ভাষা দেখিয়াছিল, তবে সত্যপ্ৰিয়ের চোখের এমন বিশ্বগ্রাসী মারাত্মক ক্ষুধার সঙ্গে ধনঞ্জয়ের সেই মৃদু কামনার অভিব্যক্তির তুলনাই হয় না। হঠাৎ যশোদার একটা অদ্ভুত ধরণের লজ্জা বোধ হয়, অনেকদিন সেরকম লজ্জার সঙ্গে তার পরিচয় ঘুচিয়া গিয়াছিল। চোখের অস্বাভাবিক দীপ্তি নিভাইয়া সত্যপ্রিয় বলিল, ‘তবু, মেয়ে-জামাইকে ফিরিয়ে আনবার জন্য আমি কিছু করতে পারব না চাদের-মা। তুমি নিজে যখন এসেছি, আমার মেয়ের ভালর জন্য এসেছি, তোমার জন্য আমি এইটুকু করতে পারি-ওদের ক্ষমা করলাম। তুমি গিয়ে ওদের বলতে পার, ওরা যদি ফিরে আসে। আমি ওদের কিছু বলব না ।” বাড়ী ফিরিয়া যশোদা নিজের বিস্ময়ে নিজেই হতবাক হইয়া থাকে। তাৱ জীবনে কখনও এমন সমস্যা উদয় হয় নাই । যা সে দেখিয়া আসিয়াছে সত্যপ্ৰিয়ের চোখে, তাই কি ঠিক ? অন্য আর কি হইতে পারে ? যেভাবে সত্যপ্ৰিয় তাকে দু’চোখ দিয়া গ্ৰাস করিতে চাহিয়াছিল তার তো অন্য কোন ব্যাখ্যা সম্ভব নয় ? কিন্তু সত্যপ্রিয়ের পক্ষে কি ওটা সম্ভব ? বিশেষতঃ তাকে দেখিয়া ? তার মত বিরাটকায়া মাঝবয়সী রমণীকে সামনে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া সত্যপ্ৰিয়ের মত to