পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éföfet মনে মাঝে মাঝে গভীর আপশোষ জাগে । কিন্তু মফঃস্বলের আলস্য বড় সাংঘাতিক জিনিস । সবটুকু বিশ্বাস বজায় রেখেও খানিকটা টলমল মন নিয়ে তারক পাটির বাসায় ফিরল। মনোজিনী সমস্ত পথ মন্তব্য করতে করতে এল ; নাঃ, নেতা নেই আমাদেৱ । একটা নেতা নেই! ইস, ভাবতেও কষ্ট হয়, একটা ভাল নেতা নেই আমাদের, যে হাল ধরতে জানে । কনফারেন্সের জন্য বাসায় লোক বেড়েছে, বাইরে থেকে কয়েকজন এসে এখানে উঠেছে। সকলের গল্পগুজব আলাপ-আলোচনার মধ্যে কিসের অভাব যেন পীড়ন করতে লাগল। তারককে-সকলের আগ্রহ ও উৎসাহ তাকে সঞ্জীবিত করে তুললেও । কয়েকজনকে ছাড়া এদের চেনে তারক । ভেতরে বাইরে চেনে। এরা সৈনিকবৃত্তি গ্ৰহণ করেছে, সামরিক জাতির মানুষের মত সহজ, স্বাভাবিক ভাবে । তফাৎ শুধু এই যে মরণকে এরা প্ৰাণ বিলিয়ে দেয় নি, জীবিতের জন্য দান করেছে জীবন। খাওয়া শেষ করে সকলের শোয়ার ব্যবস্থা হতে অনেক রাত হয়ে গেল । তারকের বিছানা মনোজিনী বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেল । “আমার খাটে আপনারা তিনজন বালিশ ছাড়া শুধু গাঁদিতে শোবেন। আপনার এই ক্ষুদে তোষকটি পাবে দু’জন। সুজনীটা বড় আছে। ওটা পেতে শোব। আমরাথি, লেডিজ ।” সীতানাথ দেয়ালে ঠেস দিয়ে সিগারেট টানছিল, হঠাৎ উদ্ধত ভঙ্গিতে বলল, “নাঃ আমি বাড়ি চললাম।” মনোজিনী ৱাগ করে বলল, “ট্রাম নেই, বাস নেই, কি করে যাবে ? আগে গেলেই হত । কষ্ট করতে শেখে একটু।” ‘कुछे चांद्र कि !' M “তা মিথ্যে নয়। রীতিমত তোষক চাদরের বিছানা তোমাদের দিয়েছি, তিনটে মোটা মোটা বই পৰ্যন্ত পেয়েছ। আচ্ছা যাও, এই বালিশটাও তোমাকে দেয়া গেল |’ সীতানাথ বালিশটা নিয়ে দু’হাতে চেপে চেপে সেটাকে গোলাকার করবার চেষ্টা করে। তাৱক ভাবে, এটা একটা আস্ত বঁাদয় । খাস জংলী বঁাদৱ । “প্যান্ট পরে শোব না কি আমি ? ?