পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিবিম্বৰ দাড়িয়ে রইল যুগ ও জগতের দু’টি মহাসমস্যার রূপধারা জীবন্ত প্রতীকের মত। তাৱক প্ৰথমে সিড়ির দিকে এগিয়ে গেল -“আসুন, নিচে যাই।” মনোজিনী বলল, “দাড়ান, আমাকে ধরে নামবেন । আমার চেনা সিড়ি । ছাতের সিড়ি বলে ভাঙা-চোৱা যেমন আছে তেমনি রেখে দিয়েছে বাড়িওলা, তিনবার বিয়ে করে একটা ছেলে হল না যে টাকাগুলো ভোগ করবে ব্যাটার। একবার কি হয়েছিল জানেন ? এক গা থেকে এক স্টেশনে যাচ্ছিলাম সন্ধ্যার পর। পথের দু’দিকে পাটক্ষেত। নির্জন, কিন্তু পথ হারাবার ভয় নেই। হঠাৎ যেন পাটক্ষেতের ভেতর থেকেই ছ’টা লোক কিলবিল করে বেরিয়ে এসে আমায় ঘিরে ধরল। কেউ জিজ্ঞেস করে, কে গো তুমি, কেউ জিজ্ঞেস করে বাড়ি কোথা, আর গা ঘেসে আসে। মুখ চাপা দেবার জন্য একজন গামছা ভাজ করছে, তাও দেখলাম । ওরা আপনাদের ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘হয়তো’র নাগাল পায় নি । নিজেকে তাই এই সব বলে সাস্তুনা দেবার চেষ্টা করছি যে, যাকগে, মেয়েমানুষ হলেও তো একটার বেশী জীবন নেই-হঠাৎ শুনি একজন বলছে, ইনি য্যান তিনি মালুম হয়! আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম, হঁ্যা ভাই আমিই তোমাদের বক্তৃতা শুনিয়েছিলাম। পরীক্ষণে দেখি, সবাই অদৃশ্য হয়েছে। একজনের গলা শুনলাম, ডর নাই, ডর নাই, যান। জানেন তারকবাবু, আমাদের সত্যি কোথাও ভয় ডর নেই।” ঘরে আলো জলছিল। সকলে জেগে উঠে সীতানাথকে ঘিরে বসে আছে । পুস্প ন্যাকড়া ভিজিয়ে ভিজিয়ে সীতানাথের নাকে জল দিচ্ছে, নিচে মন্ত একটা গামলা BDD S DDSBD BB YY S S KD S DDBLL E uDuBD BDB DBDDg DB ve তারক তাকিয়ে দেখল তার ডান হাতেও রক্তের দাগ লেগেছে, কক্তিজ পৰ্যন্ত । পুষ্প বলল, “মনোদি, দেখেছি কাণ্ড ?” মনোজিনী বলল, “কি হয়েছে ?”