পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाकि अशवनौ টুইক থাকুম রাইতে একদম সাির। পা চালাইয়া চ’ পাঁচী, এক কোশ পথ হাটন লাগিব ।’ পায়ের ঘা নিয়া তাড়াতাড়ি চলিতে পাচীর কষ্ট হইতেছিল। ভিখু সহসা একসময় দাড়াইয়া পড়িল। বলিল, “পায়ে নি তুই ব্যথা পাস পাঁচী ? “হে’, ব্যথা জানায় । “পিঠে চাপামু?” “পারিবি ক্যান ?” “পারুম, আয় ।” ভিখুৱ গলা জড়াইয়া ধরিয়া পাঁচী তাহার পিঠের উপর বুলিয়া রহিল। তাহার দেহের ভারে সামনে ঝুকিয়া ভিখু জোরে জোরে পথ চলিতে লাগিল। পথের দু’দিকে ধানের ক্ষেত আবছা আলোয় নিঃসাড়ে পড়িয়া আছে। দূরে গ্রামের গাছপালার পিছন হইতে নবমীর চাদ আকাশে উঠিয়া আসিয়াছে। ঈশ্বরের পৃথিবীতে শান্ত স্তব্ধতা । হয়তো ওই চাদ আর এই পৃথিবীর ইতিহাস আছে। কিন্তু যে ধারাবাহিক অন্ধকার মাতৃগর্ভ হইতে সংগ্ৰহ করিয়া দেহের অভ্যন্তরে লুকাইয়া ভিখুও পাঁচী পৃথিবীতে আসিয়াছিল এবং যে অন্ধকার তােহাৱা সন্তানের মাংস আবেষ্টনীর মধ্যে গোপন রাখিয়া যাইবে তাহা প্রাগৈতিহাসিক, পৃথিবীর আলো আজ পর্যন্ত তাহার নাগাল পায় নাই, কোনদিন পাইবেও না ।