পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाशेिक 4यंहावलो वटलन भष्माहे ?' লোক ডাকার কথা শুনিলে লোকটা কেমন কঁদো কঁদো হইয়া যায়, শহরে ইহাদেৱ বিপদের কথা প্রচার করিব বলিলে একেবারে কঁাদিয়া ফেলে। স্ত্রী তো চব্বিশ ঘণ্টার ভিতর দশ ঘণ্টা কঁাদিয়াই কাটায়। ভিতরে কিছু গোলমাল আছে বুঝতে পারি, মেয়েটার চুলপাড় শাড়ি আর সিদুৱহীন সিথি দেখিয়া সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়। স্বামীকে জিজ্ঞাসা করিলে বলে, “আঁতুড়ে ৰি সিঁদুর পরতে আছে ? স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিলে সে ডুকরাইয়া কঁাদিয়া ওঠে। \ বড়োই জটিল ব্যাপার। নকল দুঃস্বপ্নের মতো । দিন দশেক বাদে কিন্তু সব সরল হইয়া গেল। খাদ্য ও দুগ্ধের সন্ধানে বাহির হইয়াছিলাম, ফিরিয়া দেখি কচি মেয়েটা কঁদিয়া কঁাদিয়া গলা শুকাইয়া মরিতে বসিয়াছে, মা-বাপ কাহারো চিহ্ন পৰ্যন্ত নাই ! মেয়েটার কাছে একটা চিঠি পড়িয়াছিল। যেমন সংক্ষিপ্ত তেমনি ভীষণ । আমার উপকারের জন্য কৃতজ্ঞ হইয়া নাম-ধাম না দিয়া লোকটি রহস্তের মীমাংসা করিয়া দিয়া গিয়াছে। যুবতীট নাকি লোকটির স্ত্রী নয়, বাল্যবিধবা কন্যারত্ন । পাপিটাকে যাহাতে গুহাতেই মরিতে দিয়া পলাইয়া গিয়া জগতের কল্যাণ করি শেষের দিকে এরূপ একটা অনুরোধও জানোনো হইয়াছে। খুকিকে কোনো প্রকারে একটু দুধ খাওয়াইয়া আমি মাথায় হাত দিয়া বসিয়া রহিলাম। অনুপস্থিত বিধবাটি এবং তাহার বাপের উদেশে আমার গালাগালি শুনিয়া গুহার পাথরগুলিও বোধহয় সেদিন লাজ পাইয়াছিল । পনেরো বছর পরে ভূমিকম্প । বাৎসল্যের সিমেন্ট দিয়া যৌবনের শক্ত গারদ করিয়াছিলাম, তাহা ফাটিয়া একেবারে চোঁচিৱ ! মেয়েটা গুহা আলো করিয়া জন্মিয়াছিল, এখন আমার বাড়িটা এমন আলো করিয়াছে যে, এই প্রৌঢ় বয়সে মাঝে মাঝে চােখে অন্ধকার দেখিতে &byr,