পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা 山卒 সদানন্দ সাধুর আশ্রমের তিনদিকটা তপোবনের মত । বাকী দিকটাতে একটা নদী আছে। আশ্রম ঘিরিয়া অবশ্য তপোবনটি গড়িয়া ওঠে নাই, স্থানটি তপোবনের মত নির্জন আর শান্তিপূর্ণ দেখিয়াই আশ্রম গড়িয়া তোলা হইয়াছে। আশ্রমের বয়স আর কত হইবে, বছর পাচেকের বেশী নয়। তপোবনের বড় বড় গাছগুলির কোন কোনটা হয়ত শতাব্দীরও বেশী সময় ধরিয়া নিবিড় ছায়া বিলাইয়া उयामिgड८छु । তপোবনের সমস্তটা আশ্রমের সম্পত্তি নয় । দলিলপত্রের হিসাবে দেখা যায়, আশ্রমের ভূমির পরিমাণ শ'খানেক বিঘার কাছাকাছি ! তপোবন আরও বিস্তীর্ণ।--উত্তরে বাসুপুরের গা-ঘেঁষা প্ৰকাণ্ড কলাবাগান এবং দক্ষিণে সাতুনার বাগদী পাড়া DBD MTEKLLDDDDS DD DBDD0 S DDDD আমবাগানটা ধরিলে আশ্রমের ভূমির দশ বার গুণ। তবে দলিলপত্রে ছাড়া আশ্রমের সীমানা ভাল করিয়া কোথাও দেখানো নাই। কিনা, তাই বন, উপবন, আমবাগান, কলাবাগান, সমস্তই আশ্রমের उ56°iयन बब्लिद्मा मgन श्श्न । নদী পূদিকে। একটি শাখানদীর এই উপশাখাটিকে স্থানীয় লোক আদর করিয়া ডাকিত রাধা বলিয়া, বোধহয় আদরের আতিশয্যেই একটা ইকার জুটিয়া এখন হইয়াছে রাধাই। बए अभि51 नी। @ठि दछद्ध दic5 अiद्म মরে । আকাশে যেই কালো কালো মেঘ জমিয়ু থম থম করে, লোকে জল আটকানোর জন্য চালের शूळे थांद्र छांछिद्र गूठे ८गद्रांगठ न ददिशा यांद्र উপায় খুজিয়া পায় না, রাধাই নদীতে অমনি দেখা দেয় ঘোলা জলের স্ৰোত ৷ ক'মাস ধরিয়া রোদে যে বালি তাতিয়াছে, সে বালি যায় ঢাকিয়া, স্থানে স্থানে যে আবদ্ধ জল পচিয়া উঠিতেছিল সে জল যায় ভাসিয়া । সকলে অবাক হইয়া একবার তাকায় আকাশের দিকে, একবার তাকায় রাধাই নদীর দ্রুতবৰ্দ্ধনশীল জীবন সঞ্চারের দিকে। বড় রহস্যময় মনে হয় ব্যাপারটা সকলের কাছে। বৃষ্টি আর হইয়াছে কতটুকু, কদিনের ছাড়া ছাড়া বর্ষণে পথঘাট ভাল করিয়া ভেজে নাই পৰ্য্যন্ত । কোন পুকুরে জল বাড়ে নাই, কোন ডোবায় জল জমে নাই। রাধাই এত জল পাইল কোথায় ? দরদেশে কোথায় ইতিমধ্যে প্ৰবল বর্ষা নামিয়াছে, কোন বড় নদী সেই জল বহিয়া আনিয়া কোন শাখানদীকে দিয়াছে, আর কোন শাখানদীর দানে তাদের এই নদীতে দেখা দিয়াছে নবযৌবনের আবির্ভাব, এত সব রহস্যের সন্ধান কজনে আর রাখে। চোখের সামনে মরা নদীকে বাঁচিতে দেখিয়া সকলে বিস্মিত হয়। নদীর একেবারে ধারে প্রকাণ্ড চালাটায় বিকালের দিকে সাধুজীর দর্শনকামীদের সমাগম হয়। আশ্রমের সকলে তো উপস্থিত থাকেই, কাছাকাছি গ্ৰাম হইতে অনেকে আসে, দূরের গ্রাম ও সহর হইতেও আসে। সদানন্দ সকলকে qia e Çqi, quicals (stav Jt Jte citatit এবার যেদিন প্ৰথম রাধাই নদীর বুকে স্রোত দেখা দিল, সেদিন অহিংসা ও প্রেমের কথা বলিতে বলিতে সদানন্দ হঠাৎ আনমনে চুপ করিয়া গেল। নদীর স্রোতের দিকে পলকহীন চোখে এমনভাবে চাহিয়া রহিল যে, কারও বুঝিবার উপায় রহিল না, অন্যমনস্ক সে ইচ্ছা করিয়া হইয়াছে। আজ কথা জমিতেছিল না। যার কথা মনের মধ্যে কঁাটার মত বেঁধে, মধুর মত মাখা হইয়া যায়, মধুপের মতু গুঞ্জন করে, শুনিতে শুনিতে থাকিয়া থাকিয়া হয় রোমাঞ্চ, আজ যেন তার কথায় জোর নাই, সুর নাই-নিছক কতকগুলি নীরস ভোতা শব্দমাত্র পরিবেশন করিতেছে । অস্বন্তি বোধ করিতে করিতে এতক্ষণে কারণটা টের পাইয়া সকলে স্বস্তি লাভ” করে। তাই বটে, সাধুৰী