bang labOOKS. in So S, Se মানিক রচনাসমগ্ৰ সম্মুখ হইতে পালাইয়া বাঁচে, তাব পালানোর উপায় নাই। তার উপর বিধান আবাব তাহাকে হুকুম দিয়া রাখিয়াছে, সব সময় কাছে কাছে থাকবে ম্যাব, যা বলেন শুনবে, আগনেব আঁচে বেশি যেতে দেবে না, ওপোব-নীচ করতে দেবে না, সেবাযত্ন করবে।---মাব শরীব ভালো নয় জানো তো ? বিধান বলিয়া খালাস, সকালে উঠিযা ছেলে পড়াইতে যায়, বাডি ফিরিয়াই ছোটে আপিসে, ফোবে সন্ধাব পর, সাবাদিন শ্যামা কী কাণ্ড করে সে তো দেখিতে আসে না, সুবর্ণের অবস্থা সে কী বুঝিবে। কিছু বলিবার উপাযও সুবর্ণের নাই। কী বলিবে ? যদি বলিতে যায়, বিধান যে ভাবিয়া বসিবে, দাখো এবং মদ্ধো নালিশ কাবা শুরু হইয়াছে। কিন্তু বিধান সব বোঝে। চিবকাল বুঝিয়া আসিয়াছে। সুবৰ্ণ এখনও জানে না যে বুঝিয়াও বিধান কোনোদিন কিছু বলে না, চুপচাপ নিজের কাজ করিয়া যায়, চুপচাপ উপায ঠাওরাষ। বনগাঁথা শ্যামা একবার পাগল হইতে বসিয়াছিল এবারও সেই রকম আরম্ভ হইয়াছে দেখিয়া বিধান কম ভযা পায। নাই, প্রতিবিধানের কোনো উপায় শুধু সে খুজিয়া পাইতেছে না। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যুঘটিত, শামাকে লইয়া কোথাও চেঞ্জে যাইতে পারিলে ভালো হইত, কোনো ঠান্ডা দেশে, দাৰ্জিলিং অথবা সিমলা। সে অনেক টাকাব্য কথা। অত টাকা কোথায পাইবে সে ? ংসার চালানোর ভাবনাতেই এই বয়সে সে বুডা হইয়া গেল। এ বাড়িতে সে ছাড সকলেই বোধ হয় ভুলিয়া গিয়াছে বাড়িটা পর্যন্ত তাদেব নয, মাসে মাসে ভাঙা গুনিতে হয়। বিধানকে । সত্যই কি শ্যামাব আবার সেই বকম হইতেছে, বনগাঁয়ে যেমন হইয়াছিল, যে জন্য পড! ছাড়িয়া চাকরি লইতে হইয়াছিল বিধানকে ? শ্যামার চোখের দিকে তাকাও, বাহিবে দুবন্ত রোদেব যেমন তেজ তেমনি জ্বালা শ্যামাব চোখে। এ বুঝি, জীবনব্যাপী দুঃখেব অভিশাপ। আজীবন শান্ত আবেষ্টনীর মধ্যে সুলক্ষিত আশ্রযের আড়ালে বাস কবিতে না পারিলে এমনি বুঝি হইয়া যায়। অসহযো নালী, আজীবন দুঃখদুর্দশার পীড়ন সহিযা শেষে যখন সুখী হওয়াব সময় আসে তখন তুচ্ছ আবহাওয়াব উত্তাপেই গলিয়া সাব্য। আঁচল গায়ে জড়াইয়া শ্যামা কত শীত কাটাইয়া দিযাছে, তিনটি উনানের অ্যাচে বসিয়া পাব কবিধা দিয়াছে কত গ্রীষ্ম। এবার সে এত কাবু হইয়া গেল! তবপবী একদিন আকাশে ঘনঘটা আসিল। মাটি জুড়াইল, জুড়াইল মানুষ। বিকাবের শেষের দিকে ধীরে ধীরে চুপ কবিয়া মানুষ যেভাবে ঘুমাইয়া পড়ে শ্যামাও তেমনি ভাবে ক্ৰমে ক্ৰমে শাস্ত ও বিষঃ হইয়া আসিল । সকলে হ্রাফ ছাডিয়া বাঁচিল । তবু, সুবৰ্ণকে শ্যামা পুরাপুরি সুনজরে দেখিতে পাবিল না। একটা বিদ্বেষেবা ভাব বহিয়াই গেল। বিধান কত আদবের ছেলে শ্যামাব, সাত বছর বন্ধ্যা থাকিমা, প্রগম সন্তানকে বিসর্জন দিয়া ওকে শ্যামা কোলে পাই যাছিল,-~-সুবর্ণ তার বউ। তবু সুবৰ্ণকে বুকের মধ্যে গ্ৰহণ কবিতে পাবিল না। কী দুৰ্ভাগ্য শ্যামাব ! শীতল তেমনি অবস্থায় এখনও বাঁচিয়া আছে, ডাক্তারের ভবিষ্যদবাণী বুঝি ব্যর্থ হইযা যায়! এতদিনে তাব মরিয়া যাওয়ার কপা। মৃত্যু। কিন্তু দুটি একটি অঙ্গ গ্রাস করিয়া, সর্বাঙোিগব প্রায় সবটুকু শক্তি শুষিয়া তৃপ্তি হইযা আছে, হঠাৎ কবে আবার ক্ষুধা জাগিবে এখনও কেহ তাহা বলিতে '?[[Ø କ{{ | শ্যামা বলে, হঁ্যা গা, বড়ো কি কষ্ট হচ্ছে? কী করব বল দেখি? বউমা বসবে একটু কাছে? গায্যে হাত বুলিয়ে দেবে ? কোনখানে কষ্ট তোমার ? ও মণি ডাক তো তোব বউদিকে, ওষুদ মালিশ করে