পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy cनौ । একদিনের কথা বললেন, কিন্তু আমি কাল মোট কলকাতা থেকে এখানে এসেছি। আশেপাশে যদি দুএকটা পাখী মেলে এই আশায় সকালে বন্দুকটা নিয়ে বেরিয়েছিলাম। ... একটা ঘুঘু, এই দিকে উড়ে এসেছিল, কোথায় বসল। তাই দেখছিলাম, जाननांक नय। হাতের বন্দুকটা দেখিয়ে বললে, এটা দেখে আপনার বিশ্বাস হওয়া উচিত। পিছন ফিরে ঘাটের দিকে চলতে চলতে মেয়েট বললে, ন্যাকামি করবেন না, च्वांशि कफ्रि शूफ़ी नहे । ছেলেটির মুখ কালো হয়ে গেল। সকাল বেলার উজ্জ্বল আলো পৰ্যন্ত যেন এক সুন্দরী তরুণীর দেওয়া কুৎসিত অপবাদের ছাপে মলিন হয়ে উঠল। ছেলেটি নিঃশ্বাস ফেলে সরে গেল। পলাতক ঘুঘুটা চােখের সামনে দিয়ে উড়ে গিয়ে কাছেই একটা ডালে বসিল, বন্দুক তুলতে ইচ্ছা হল না। আঁকাবঁকা সরু পথটি ধ’রে বাগান পার হয়ে খিড়কির দরজা দিয়ে সাদা বাড়িটায় ঢুকল। বন্দুকটা বড় ঘরের কোণে ঠেস দিয়ে রেখে বিরস মুখে খাটের একধারে বসে পড়ল। . মা বললেন, কি শিকার কারলি রে অশোক ? অপবাদ । অপবাদ ? ? হ, বলে খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বললে, গায়ের মেয়েগুলি ভারী ঝগড়াটে হয়, না মা ? ? কারু সঙ্গে ঝগড়া করে এলি নাকি ? অশোক বললে, আমায় করতে হয়নি, একাই করেছে। বাবু স্নান করছিলেন, ঘুঘু খুজতে যেই পুকুর পাড়ে গেছি, জল থেকে উঠে এসে যা মুখে এল শুনিয়ে দিল। ওত পেতে ছিল বোধ হয়! বাপ, থাক তোমরা এখানে, কাল আমি কলকাতা চম্পট দিচ্ছি। মা বললেন, কোন পুকুর ? বাগানের ভেতরেরটা ? অশোক ঘাড় নেড়ে সায় দিল । তবে বোধ হয়। হৃদয় মোক্তারের ভাগ্নী। খুব সুন্দর দেখলি ? দেখলাম ? না দেখতেই যা শোনাল, দেখলে বোধ হয় খেয়েই ফেলত। অশোকের ক্রুদ্ধ মুখের দিকে চেয়ে মা হেসে বললেন, না রে, ও খুব ভাল মেয়ে। দোষের ভেতর একটু তেজী আর ঠোঁটকাট। ৷ O fro vivoca o