পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象8 cनदी মাঠে বেড়ানোর আনন্দচুকু মাঠে মারা গেল। অশোক ভাবলে, কী কুক্ষণেই মেয়েটার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ! সন্ধ্যার অন্ধকার একটু অস্বাভাবিক রকম ঘন হয়ে এল। সেদিকে অশোকের নজর পড়ল না । নজর পড়লে নদীর চড়ায় বসে থাকবার মত সাহস তার झोङ ना । ঈশান কোণের জমাট-বাধা কালো ছায়াটি যে রকম দ্রুতবেগে আকাশের অর্ধেকটা ঢেকে ফেললে তাতে আর অল্পক্ষণের ভেতরই যে সমন্ত আকাশ ঢেকে ফেলবে সে বিষয়ে সন্দেহ করবার উপায় রইল না । হলও তাই। আকাশ যখন প্ৰায় সবটা ঢাকা পড়েছে তখন অশোক হঠাৎ ব্যাপারটা উপলব্ধি করল । তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়িয়ে দিল।। যতবার শঙ্কিত দৃষ্টি তুলে আকাশের ভয়ানক কালো, ভয়ানক গভীর মূর্তির দিকে চাইল ততবারই তার গতিবেগ বেড়ে গেল। নেকী ত নেকী, বড় শুরু হবার আগে কোন রকমে বাড়ি পৌছানর চিন্তা ছাড়া অন্য সব কথা তার মন থেকে বেমালুম লুপ্ত হয়ে গেল। এ সময় এক রকম নিত্যকার ব্যাপার হলেও ইতঃপূর্বে পূর্ববঙ্গের কালবৈশাখীর ষে পরিচয় পেয়েছিল তাতে এই নির্জন মাঠে সেই কালবৈশাখীর সঙ্গে মুখোমুখি দাড়াবার কল্পনা করেই সে ভয় পেয়ে গেল। জমাট-বাধা অন্ধকারকে শিউরে দিয়ে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। অশোকের দ্রুত চলা দৌড়নতে পরিবর্তিত হয়ে গেল। অশোক পুরী গিয়েছিল, দূর থেকে সমুদ্রগর্জন কেমন শোনায় জানত। পিছন থেকে সেই রকম একটা অস্পষ্ট গর্জন কানে আসতেই সে বুঝতে পারল কালবৈশাখী তাড়া করে আসছে এবং তাকে ধরে ফেলতে মাত্র দুতিন মিনিটের \soo হাফ ধরে গিয়েছিল। দৌড়ে বিশেষ লাভ নেই বরং উচুনীচু মাঠের ভেতর অন্ধকারে আছাড় খাওয়ার আশঙ্কা পুরো মাত্রায়। বাধ্য হয়ে দৌড়ান বন্ধ করে অশোক দ্রুত চলা শুরু করলে। আর একবার বিদ্যুৎ চমকাতে অশোক দেখলে আম বাগান তখনো পাঁচ সাত মিনিটের পথ । আম বাগান ? ঝড় তা ধরে ফেলবে ঠিক, তখন আম বাগানের ভেতর দিয়ে যাওয়াটা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে ? অশোকের ইচ্ছা হল একবার থমকে দাড়িয়ে কথাটা ভাল করে চিন্তা করে নেয়। কিন্তু পিছনের গর্জনটা খুব কাছে এবং বেশী to try vetettgtc.. O