হয়—হোক; কিন্তু আশীর্ব্বাদ করি সুখে থাক; রামের মত ন্যায়বান হইয়া প্রজা পালন কর।”
গুহা ব্যথিত করুণ দৃষ্টিতে দিদির দিকে চাহিয়া বলিল “দিদি আমি কি এত অবিশ্বাসের কাজ করেছি —যে আমার স্নেহ মমতার উপর তোমার এই সন্দেহ—”
বালিকা কষ্টের স্বরে বলিল “সন্দেহ! না ভাই—কিন্তু সত্যি যদি”
কি বলিতে গিয়া বাধিয়া গেল, যুবক ব্যথিত হইয়া বলিল “সন্দেহ না—আমি সত্যই তোমাদের পর করিব?”
বালিকা বলিল “না না তা বলিতেছি না। আমি বলিতেছি তুই পর না করিলেও লোকেত পর বলিতে পারে—”
গুহা আশ্চর্য্য হইল, ক্রুদ্ধ হইল, গুহা রাজা হইয়াছে বলিয়া তাহার আপনার লোককে লোকে তাহার পর বলিবে? সে রোষকম্পিত স্বরে আরক্তিম লোচনে বলিল—“লোকে তোমাদিগকে পর বলিবে?”
কটীর বাণফলকে তাহার হাত পড়িল, বলিল—
“যদি আমি মানুষ হই ত এতদিন এই যে বাণ পশুবক্ষ বিদ্ধ করিয়াছে সে দিন ইহা সেই হতভাগ্যের শোণিত পান করিবে”
সত্যবতী বলিল “কিন্তু যদি—সত্যি”—
হঠাৎ থামিয়া গেল, কামিনীগাছের ঝোপের ওপিঠ হইতে দুইটা চক্ষু তাহার চোখে পড়িল—এস্তে সে বলিল