পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C平平羅托爾 ሕጓ সঙ্গী মাঝিকে জিজ্ঞাসা করলেন-এটা কি তবে••• মাঝি বললে-হঁ্যা বাবু বায়েই কীক্তিপাশার গড়। সঙ্গী বললেন—তবে তুই এত রাত্রে এখানে নৌকো রাখলি কেন ? বেকুব কোথাকার • • • মাঝি বললে-তিন জন আছি ব'লেই রেখেছিলাম বাৰু। ভাটার টানে নৌকো পিছিয়ে নেবার তো জো ছিল না । কথা-বাৰ্ত্তার ধরণ শুনে সঙ্গীকে বললুম-কি মশায়, কি ব্যাপার? আপনি কিছু জানেন নাকি ? ভয়ে যত হোক না হোক বিস্ময়ে আমরা কেমন হয়ে গিয়েছিলুম। সঙ্গী বললেন-ওরে তোর সেই কেরোসিনের ডিবেট জাল। আলো জেলে BDLLY BKBDSS DDYYYY OLL LBD মাঝিকে বললুম-তুই শব্দটা শুনতে পেয়েছিলি ? সে বললে, হঁ্য। বাবু, আওয়াজ কানে গিয়েই তা আমার ঘুম ভেঙে গেল । আমি আরও দুবার নৌকো বেয়ে যেতে যেতে ও ডাক শুনিছি। সঙ্গী বললেন—এট। এ অঞ্চলের একটা অদ্ভুত ঘটনা। তবে এ জায়গাটা সুন্দরবনের সীমানায় ব’লে, আর এ অঞ্চলে কোন লোকালয় নেই। ব’লে, শুধু নৌকার মাঝিদের কাছেই এটা সুপরিচিত। এর পেছনে একটা ইতিহাস আছে--সেট। অবশ্য নৌকোর মাঝিদের পরিচিত নয়-সেইটো আপনাকে বলি শুনুন । তারপর ধূমায়িত কেরোসিনের ডিবার আলোয় অন্ধকার বনের বুকের মধ্যে বসে সঙ্গীর মুখে কীৰ্ত্তিপাশার গড়ের ইতিহাসটা শুনতে লাগলুম তিন শ' বছর আগেকার কথা। মুনিম খাঁ তখন গৌড়ের সুবাদার। এ অঞ্চলে তখন বারভূইয়ার দুই প্ৰতাপশালী ভুইয়া রাজা রামচন্দ্র রায় ও ঈশা খ্যা মশনদ-ই-আলির খুব প্ৰতাপ । মেঘনার মোহানার বাহির সমুদ্র, যাকে এখন সদ্বীপ চ্যানেল বলে, সেখানে তখন মগ আর পর্তুগীজ জলদসু্যরা শিকারান্বেষণে শ্ৰেনপক্ষীর মত ওৎ পেতে ব’সে থাকত । ܘ