পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
ম্যালেরিয়া।

উৎকট পীড়া হইত। বাস্তবিক তাহা হইলে আমাদের দেশ এত দিনে সম্পূর্ণরূপে উচ্ছিন্ন হইত।

 প্লীহাতে সর্ব্বদা রক্ত গমনাগমন করাতে উহার স্থিতিস্থাপকতা ক্রমশঃ বিনষ্ট হইয়া যায়, উহার ট্রেবোকউলি এবং বাহ্য আবরণীর দৃঢ়তা এবং কাঠিন্য বৃদ্ধি হইয়া সমস্ত যন্ত্রের বিবৃদ্ধতা উৎপাদন করে। বিবৃব্ধতাতে প্লীহার কোন নূতন ঝিল্লীর উৎপত্তি হয় না, যাহা কিছু আছে তাহারই পরিমাণের ও অবয়বের বৃদ্ধি হয়। যখন দৈহিক কোন অংশ বা যন্ত্র অতিরিক্ত কোন কার্য্য করিতে বাধ্য হয়, তখন উহাতে অধিক পরিমাণে রক্তের সমাগম হইয়া উহা স্ফীত ও দৃঢ় হয়। যে পরমাণু-সমষ্টিতে উহা নির্ম্মিত তাহারই আধিক্য হয়, নূতন পরমাণুর সমাবেশ হয় না। হৃৎপিণ্ডের শোণিত-প্রবাহ প্রবহণের প্রতিরোধ (obstruction) পীড়া উপস্থিত হইলে বেনট্রিকেল‍্দ্বয়ের যে রূপ বিবৃদ্ধতা হইয়া থাকে, প্লীহার বিবৃদ্ধতাও সেই রূপ। সূক্ষ্ম দর্শন করিলে প্লীহার এই বিবৃদ্ধতাকে স্বাস্থ্যের বিশেষ বিরোধী বলিয়া বোধ হয় না। যখন বিবৃদ্ধতার আধিক্য বশতঃ প্লীহার পরিমাণ অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়া য়্যাব‍্ডোমেন্ অর্থাৎ উদর গহ্বর স্থিত অন্যান্য যন্ত্রের বা নির্ম্মাণের (structure) কার্য্য র বিঘ্নতা উপস্থিত করে তখনই বিবৃদ্ধতা বিপদুৎপাদন করে।

 ম্যালেরিয়া-প্রপীড়িত দেশে কখন কখন প্লীহাতে প্রদাহ হইয়া স্ফোটক (abscess) উপস্থিত হয়। এইরূপ