পাতা:যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ত্ৰক্ষেত্রদীপিকা । ૨૦ ૧ ংযুক্ত “ল্পের” পূর্ব “ক” এই বর্ণটা গুরুরূপে প্রতিপাদিত হয়। পাদের অন্তস্থিত অর্থাৎ পাদের শেষবর্ণ কখন গুরু কখন বা লঘুরূপে স্বীকৃত হইয়া থাকে ( ১ ) । সংস্কৃত ছন্দেীগ্রন্থকর্তারা কেবল ব্যঞ্জন বর্ণ অর্থাৎ খণ্ড অক্ষরকে অক্ষর বলিয়াই স্বীকার করেন না, তথচ ঐ ব্যঞ্জন বর্ণকে অৰ্দ্ধমাত্রা বলিয়াও নির্দেশ করিতে ক্রটি করেন নাই । ছন্দোবন্ধে ঐ অৰ্দ্ধমাত্র বর্ণ ধর্তব্য মধ্যেই পরিগণিত হয় নাই, এটা আমাদের মতবিরুদ্ধ। যথা –ঙ্গ ক। সঙ্গীতমধ্যে অকু এই পদে সাৰ্দ্ধমাত্রার নির্বাচন আছে । ছন্দঃকর্তাদিগের মতে উহাতে একটী মাত্র মাত্রা ধর্তব্য, খণ্ডবর্ণ কৃট পরিগণিত হয় না, পরন্তু শ্লোকাদির মধ্যে ঐ অক্‌ শব্দটী থাকিলে তাহারা ঐ কূটীর পরস্থিত কোন ব্যঞ্জনবর্ণের সহিত উহার সংযোগ কল্পনা করিয়া কথিত কুটার পূর্ববর্ণ আটকে | ஆ | গুরুবর্ণ বলেন, বলুন, যেমন অকৃত, তাহ আমাদিগেরও মত বটে কিন্তু গুরু বলিয়া তাহাতে ছুইটী মাত্রা স্থির করেন, এটা নিতান্তই বিরুদ্ধ । দ্বিমাত্র বলিলেই তাহাকে দীর্ঘ বলিয়া নির্দেশ করিতে হয়, তাহাও তাহারা করেন। গুরু বর্ণকে দীর্ঘ বলিয়া নির্দেশ করা যে, কেবল অfমাদিগের, সঙ্গীতশাস্ত্রেরই মতবিরুদ্ধ এমত নহে, সৰ্ব্বশাস্ত্ৰবোধের দীপতুল্য অতুল্য ব্যাকরণ শাস্ত্রেরও মতবিরুদ্ধ। কি পাণিনিকার, কি কলাপপ্রণেতা, কি সংক্ষিপ্তসারকর্ড, কি মুগ্ধবোধরচয়িতা সকলেই ইহার বিপরীতবাদী। ইহঁাদের প্রত্যেকেরই মত একমাত্র বর্ণ লঘু তদতিরিক্ত সকলই গুরু । স্বপ্রসিদ্ধ মেদিনীকার অলঘুরই গুরুত্ব স্থির করেন, স্বতরাং পুতেরও গুরুসংজ্ঞার ব্যাঘাত নাই, পরন্ত দ্বিমাত্র বর্ণমাত্রেরই দীর্ঘসংজ্ঞা আছে অন্যের নাই। দীর্ঘকে গুরু বলা যায়, ( ) সাহুস্বারশ দীর্থস্ট বিলগাঁচ গুরুর্ভবেৎ। বর্ণঃ সংযোগপুৰ্ব্বশ তথা পাদাস্তগোংপি বা ॥ ইতি ছন্দোমঞ্জর্ধ্যাং । অপি চ সংযুক্তাদ্যং দীর্ঘং সানুস্বারং বিসর্গসংমিশ্ৰং। বিজেত্বমক্ষরং গুরু পাত্তস্থং বিকল্পেন। ইতি মহাকবিকালিদাসপ্রণীতশ্রুবাধে। 을