পাতা:যন্ত্রক্ষেত্রদীপিকা.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:) : বস্ত্ৰক্ষেত্রদীপিকা । - সাঁ-হুঁ ইত্যাদি। এই চিহ্নটা এক দুই ইত্যাদি মাত্রার সহিত একত্র লিখিবার সময় দণ্ড চিহ্নের পাশ্বে পার্শ্বে থাকিবে, যেমন সা-খাঁ ইত্যাদি। গীতে কখন কখন অণুমাত্র অর্থাৎ অৰ্দ্ধমাত্রার অৰ্দ্ধমাত্রা ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়, দুইটা অণুমাত্রাতে একটা অৰ্দ্ধমাত্রা এবং চারিট অণুমাত্রাতে একটা পূর্ণমাত্র সম্পন্ন হইয়া থাকে। অণুমাত্রার এইরূপ ( x ) ডমরু চিহ্ন, এই চিহ্নটাও অৰ্দ্ধমাত্রার অনুরূপভাবে লিখিত হইবে। যথা –সাঁ-হুঁ,সাঁ-হুঁ ইত্যাদি। প্রাচীন পণ্ডিতের উক্ত পাচপ্রকার মাত্রাদ্বারাই সঙ্গীতক্রিয়া লিপিবদ্ধ করিতেন, কিন্তু আমাদিগের বিবেচনায় উক্ত পঞ্চবিধ মাত্রাদ্বারা কখনই স্বর বা স্বরসমূহের বিশেষ বিশেষ স্থিতিকাল সুন্দররাপে হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে না, অতএব এ স্থলে আরও কয়েকট মাত্রাজ্ঞাপক চিহ্ন প্রকটিত করা গেল । স্বর এক মাত্রার দুই তৃতীয়াংশ কাল স্থায়ী হইলে এইরূপ ( ) বাণ চিহ্ন, তৃতীয়াংশ কাল স্থায়ী হইলে এইরূপ ( + ) ত্রিশুল চিহ্ন, এবং অষ্টমাংশ কাল স্থায়ী হইলে এইরূপ ( , ) যব চিহ্ন ব্যবহার করা যাইবে ; এই সকল মাত্রা চিহ্নও স্বরের উপরে উপরে থাকিবে । যথা:– সান্ধী ইত্যাদি। বোধ করি পূৰ্ব্বোক্ত পাঁচ প্রকার এবং এই ত্রিবিধ মাত্রার যোগেই স্বরলিপি অপেক্ষাকৃত বিশদ হইতে পরিবে। কথিত ধাতু এবং মাত্রা এতদুভয়ে মিলিত হইয়া প্রকাশ পাইলে তাহাকে প্রকৃত গীত বলা যায়। গীত দুইপ্রকার, গাত্রজ এবং যন্ত্রজ । যে গীত মনুষ্যকণ্ঠে স্থম্পষ্টরূপে উৎপাদিত হইয়া লোকের চিত্তরঞ্জন করে, তাহার নাম কণ্ঠগীত, আর যে গীত বীণা অথবা সেতারাদি যন্ত্রে প্রতিপন্ন হয়, তাহার নাম যন্ত্রগীত । কথিত হইয়াছে কালজ্ঞাপক মাত্রাচিহ্ন প্রত্যেক স্বরের উপরে উপরে দেওয়া থাকিবে, কিন্তু তালবিশেষের অনুরোধে এমনও হয় যে, দুইটা তিনটা অথবা তদতিরিক্ত স্বরের উপর কোন মাত্রাচিহ্নই নাই, মাত্রাচিহ্নটা সৰ্ব্বশেষের স্বরটার উপর দেওয়া আছে, সেখানে একমাত্রা কালের মধ্যে সর্বশেষ স্থরটর সহিত পুৰ্ব্ব স্বরগুলি সমভাবে প্রকাশিত