পাতা:যুগান্তর - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ S o ዓ তার পরিচর্য্যাতে দিন রাত্রি এমনি ব্যস্ত যে টিমীর আহার নিদ্রা মনে থাকে না । এই খুকী সেদিন কি একটা দুষ্টামির কাজ করিয়াছে, তাই বলিল—“সে দুষ্ট।” বলিয়া ক্ষুদ্র অঙ্গুলির নির্দেশ দ্বারা নিজের খেলার ঘর দেখাইয়া দিল। নবীনচন্দ্র গিয়া দেখেন যে টিমী নিজে দুষ্টামি করিলে, তাহার পিতা বা কাকা বাবু যেমন তাহাকে মুখ ফিরাইয়া কোণে দাঁড় করাইয়া দেন, সে আপনার খুকীকে দুষ্টামির জন্য তেমনি মুখ ফিরাইয়া কোণে দাড় করাইয়া দিয়া আসিয়াছে। তখন নবীনচন্দ্ৰ“চে দুষ্ট” কথাটার সম্পূর্ণ অর্থ বুঝিতে পারিয়া, উচ্চৈঃস্বরে হাস্য করিয়া উঠিলেন। তঁহার হাস্যধ্বনিতে বাড়ী কঁাপিয়া গেল । কৃষ্ণকামিনী তাহার ঘর হইতে ভুটিয়া আসিলেন ; বধূগণ রন্ধনশালা হইতে উৎকৰ্ণ হইয়া শুনিতে লাগিলেন । ইত্যবসরে ব্রজরাজের মাতৃস্বাস মাতঙ্গিনী আসিয়া উপস্থিত। মাতঙ্গিনী বালািবধবা ; বয়ঃক্রম ২৫|২৬ হইবে । বৰ্ণ তপ্তকাঞ্চনের ন্যায় ; শরীরে রূপ যেন ফাটিয়া পড়িতেছে। মাতঙ্গিনী বাড়ীতে প্ৰবেশ করিয়াই উপরে অট্টহাস্যধ্বনি শুনিতে পাইল ; সিড়িতে উঠিতে উঠিতেই ঘোষগৃহিণীর সহিত সাক্ষাৎ হইল! তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, —“ও কে দিদি, অমন করে হাসচে ? বাবারে কি হাসি; আমি চমকে উঠেছিলাম।” ঘোষাগৃহিণী | ও যে নবীন । তুই এখানে ছিলিনে। তা বুঝি জানিসনে ? নবীন যে এক মাস হতে আমাদের বাড়ীতে এসে আছে। মাতঙ্গিনী । বটে, কেন তিনি না। তঁর দাদার সঙ্গে ছিলেন। ঘোষগৃহিণী। আর দাদার মাতলামির জ্বালায় সেখানে টেকতে পারে না । মাতঙ্গিনী । তা বেশ হয়েছে।