পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و\طSRN রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী চার মাস পরে এলেম ফিরে । ছুটেছিলেম অমলিকে দেখতে কাশীতে পথের মধ্যে পেলেম চিঠি কী আর বলব, দেবতাই তাকে নিয়েছে । যাক সে-সব কথা । অমলার ঘরে বসে সেই আখোলা চিঠি খুলে দেখি, VDANU5 Qa<R—— “তোমাকে দেখতে বাড়ডো ইচ্ছে করছে । আর কিছুই নেই। vo S Jose Svovo s বালক হিরণমাসির প্রধান প্রয়োজন রান্নাঘরে । দুটি ঘড়া জল আনতে হয় দিঘি থেকেতার দিঘিটা ওই দুই ঘড়ারই মাপে রান্নাঘরের পিছনে বাধা দরকারের বাধনে । এ দিকে তার মা-মরা বোনপো, গায়ে যে রাখে না কাপড়, মনে যে রাখে না সদুপাদেশ, প্রয়োজন যার নেই কোনো কিছুতেই, সমস্ত দিঘির মালেক সেই লক্ষ্মীছাড়াটা । মুখে জল নিয়ে আকাশে ছিটোতে ছিটোতে সাতার কাটে, ছিনিমিনি খেলে ঘাটে দাড়িয়ে, কঞ্চি নিয়ে করে মাছ-ধরা খেলা, ডাঙায় গাছে উঠে পাড়ে জামরুল খায় যত ছড়ায় তার বেশি । দশ-আনির টাক-পড়া মোটা জমিদার, লোকে বলে দিঘির স্বত্ব তারইবেলা দশটায় সে চাপড়ে চাপড়ে তেল মাখে বুকে পিঠে, ঝাঁপ করে দুটাে ডুব দিয়ে নেয়, বাশবনের তলা দিয়ে দুৰ্গা নাম করতে করতে চলে ঘরে সময় নেই, জরুরি মকৰ্দমা । দিঘিটা আছে তার দলিলে, নেই তার জগতে । আর ছেলেটার দরকার নেই কিছুতেই, তাই সমস্ত বন-বাদাড় খাল-বিল তারইনদীর ধার, পোড়ো জমি, ডুবো নীেকো, ভাঙা মন্দির, তেঁতুল গাছের সবার উচু ডালটা ।