পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રૂ.૧ના রবীন্দ্র-রচনাবলী কিন্তু যাহার বিশ্বাস নাই, ষে ভীরু এ সৌন্দৰ্যরসাস্বাদনের জন্যও এক ইঞ্চি পরিমাণ অসম্ভবকে লঙ্ঘন করিতে পরাস্মুখ হয়, তাহার কাছে কোনো কিছুর আর তার পরে’ নাই, সমস্তই হঠাৎ অসময়ে এক অসমাপ্তিতে সমাপ্ত হইয়া গেছে। ছেলেবেলায় সাত সমূদ্র পার হইয়া মৃত্যুকেও লঙ্ঘন করিয়া গল্পের যেখানে যথার্থ বিরাম, সেখানে স্নেহময় সুমিষ্ট স্বরে শুনিতাম — o আমার কথাটি ফুরোল, ন’টে গাছটি মুড়োল। এখন বয়স হইয়াছে, এখন গল্পের ঠিক মাঝখানটাতে হঠাৎ থামিয়া গিয়া একটা নিষ্ঠুর কঠিন কণ্ঠে শুনিতে পাই— o আমার কথাটি ফুরোল না, ন’টে গাছটি মুড়োল না । কেন রে নটে মুড়োলিনে কেন । তোর গরুতে— · দূর হউক গে, ওই নিরীহ প্রাণীটির নাম করিয়া কাজ নাই। আবার কে কোনদিক হইতে গায়ে পাতিয়া লইবে । আষাঢ়, }\రిe o শান্তি ७थंथञ अंब्रिद्धष्कृल দুখিরাম রুই এবং ছিদাম রুই দুই ভাই সকালে যখন দ হাতে লইয়া জন খাটিতে বাহির হইল তখন তাহাদের দুই স্ত্রীর মধ্যে বকবিকি চেচামেচি চলিতেছে। কিন্তু প্রকৃতির অন্যান্য নানাবিধ নিত্য কলরবের স্তায় এই কলহ-কোলাহলও পাড়াসুদ্ধ লোকের অভ্যাস হইয়া গেছে। তীব্র কণ্ঠস্বর গুনিবামাত্র লোকে পরম্পরকে বলে-- “ওই রে বাধিয়া গিয়াছে,” অর্থাৎ যেমনটি আশা করা যায় ঠিক তেমনিটি ঘটিয়াছে, আজও স্বভাবের নিয়মের কোনোরূপ ব্যত্যয় হয় নাই। প্রভাতে পূর্বদিকে পূর্ব উঠিলে যেমন কেহ তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করে না, তেমনি এই কুরিদের বাড়িতে দুই জায়ের মধ্যে যখন একটা হৈ-হৈ পড়িয়া যায় তখন তাহার কারণ নির্ণয়ের জন্য কাহারও কোনোরূপ কৌতুহলের উদ্রেক হয় না।