পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●●● রবীন্দ্র-রচনাবলী আচার্য। তবে কি গুরু আসেন নি ? পঞ্চক। হয়তো বা দাদা ভুল করে আমার গুরুরই সঙ্গে লড়াই বাধিয়ে বসেছেন! আটক নেই। রাত্রে তাকে হঠাৎ দেখে হয়তো যমদূত বলে ভুল করেছিলেন । প্রথম দৰ্ভক। আমরা শুনেছি কে বলছিল গুরুও এসেছেন। আচার্য। গুরুও এসেছেন ! সে কী রকম হল ! পঞ্চক। তবে লড়াই করতে কারা এসেছে বল তো ? প্রথম দৰ্তক। লোকের মুখে শুনি তাদের নাকি বলে দাদাঠাকুরের দল। পঞ্চক। দাদাঠাকুরের দল ! বল বল শুনি, ঠিক বলছিস তো রে ? দ্বিতীয় দর্তক। ইঁ, সকলেই তো বলছে দাদাঠাকুরের দল। পঞ্চক । ওরে কী আনন্দ রে কী আনন্দ ! আচার্য। একি পঞ্চক, হঠাৎ তুমি এ রকম উন্মত্ত হয়ে উঠলে কেন ? · পঞ্চক। প্রভু, আমার মনের একটা বাসনা ছিল কোনো সুযোগে যদি আমাদের দাদাঠাকুরের সঙ্গে গুরুর মিলন করিয়ে দিতে পারি, তা হলে দেখে নিই কে হারে কে জেতে । আচার্য। পঞ্চক, তোমার কথা আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি নে। তুমি দাদাঠাকুর বলছ কাকে ? পঞ্চক । আচার্যদেব, ঐটে আমার গোপন কথা, অনেকদিন থেকেই মনে রেখে দিয়েছি। এখন তোমাকে বলব না প্রভু, যদি তিনি এসে থাকেন তা হলে একেবারে চোখে চোখে মিলিয়ে দেব। প্রথম দৰ্ভক। বাবাঠাকুর, হুকুম করে, একবার ওদের সঙ্গে লড়ে আসি– দেখিয়ে দিই এখানে মানুষ আছে । পঞ্চক । আয় না ভাই আমিও তোদের সঙ্গে চলব রে । দ্বিতীয় দৰ্ভক। তুমিও লড়বে নাকি ঠাকুর ? श्रृंक्ष्ठ् । ई, लष्क्लद् ।। আচার্য। কী বলছ পঞ্চক ! তোমাকে লড়তে কে ডাকছে ! পঞ্চক। আমার প্রাণ ডাকছে। একটা কিসের মায়াতে মন জড়িয়ে রয়েছে প্রভু। যেন কেবলই স্বপ্ন দেখছি— আর যতই জোর করছি কিছুতেই জাগতে পারছি নে । কেবল এমন বসে বসে হবে না দেব ! একেবারে লড়াইয়ের মাঝখানে গিয়ে পড়তে না পারলে কিছুতেই এ ঘোর কাটবে না।