পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষণিকা তথাপি তুমি যদি আমায় ভালো না বাস রাগ করি যে এমন আমার সাধ্য নাইএমন কথার দেব নাকো আভাসও, আমারো মন তোমার পায়ে বাধ্য নাই । নাইকো আমার কোনো গরীব-গরিমা— যেমন করেই কর আমায় বঞ্চিত তুমি না রও তোমার সোনার প্রতিমা রবে। আমার মনের মধ্যে সঞ্চিত । কিন্তু তবু তুমিই থাকো, সমস্যা যাক ঘুচি । স্মৃতির চেয়ে আসলটিতেই আমার অভিরুচি। দৈবে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়া শক্ত নয় সেটা কিন্তু বলে রাখাই সংগত । নিন্দা তারা করতে পারে অন্তত । তাহা ছাড়া চিরদিন কি কষ্টে যায় ? ? ? আমারো এই অশ্রু হবে মার্জনা । ভাগ্যে যদি একটি কেহ নষ্টে যায় সাস্তুনার্থে হয়তো পাব চার জন । কিন্তু তবু তুমিই থাকো, সমস্যা যাক ঘুচি । চারের চেয়ে একের ”পরেই আমার অভিরুচি । কবির বয়স ওরে কবি, সন্ধ্যা হয়ে এল, কেশে তোমার ধরেছে যে পাক । বসে বসে উধৰ্ব্বপানে চেয়ে শুনতেছ। কি পরকালের ডাক ? কবি কহে, ‘সন্ধ্যা হল বটে, শুনছি বসে লয়ে শ্রান্ত দেহ, এ পারে ওই পল্লী হতে যদি আজো হঠাৎ ডাকে আমায় কেহ । যদি হােথায় বকুলবনচ্ছায়ে মিলন ঘটে তরুণ-তরুণীতে, দুটি আঁখির পরে দুইটি আঁখি মিলিতে চায় দুরন্ত সংগীতে— Sbrዒ