পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অাজশক্তি (ఆలి. তবে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে তর্কে নিরুত্তর করিবার চেষ্টা করে না, এমন কি, তাহাকে ধর্মোপদেশও শোনায় না— তখন ফরাসি কতৃপক্ষের মন পাইবার জন্ত তাহাকে नामांeथकांद्र ८कोणन च्यदलचन कब्रिटङ झग्र- 4हेखछहे ८कोणणौ ब्रांछनूङ निबङझे ফ্রান্সে নিযুক্ত আছে। শুনা যায়, একদা জর্বনি যখন ইংলণ্ডের বন্ধু ছিল তখন ডিউক-উপাধিধারী ইংরেজ রাজদূত ভোজনসভায় উঠিয়া দাড়াইয়া জর্মনরাজের হাতে র্তাহার হাত মুছিবার গামছা তুলিয়া দিয়াছেন । ইহাতে অনেক কাজ পাইয়াছিলেন । এমন একদিন ছিল যেদিন মোগল-সভায়, নবাবের দরবারে, ইংরেজকে বহু তোষামোদ, বহু অর্থবায়, বহু গুপ্ত কৌশল অবলম্বন করিতে হইয়াছিল । সেদিন কত গায়ের জালা যে র্তাহাদিগকে আশ্চর্ষ প্রসন্নতার সহিত গায়ে মিলাইতে হইয়াছিল, তাহার সীমাসংখ্যা নাই। পরের সঙ্গে স্থযোগের ব্যবসায় করিতে গেলে ইহা অবশ্যম্ভাবী। আর, আমাদের দেশে আমাদের মতো নিরুপায় জাতিকে যদি প্রবল পক্ষের নিকট হইতে কোনো হযোগলাভের চেষ্টা করিতে হয়, তবে কি আন্দোলনের স্বারাতেই তাহা সফল হইবে ? যে-দুধের মধ্যে মাখন আছে সেই দুধে আন্দোলন করিলে মাখন উঠিয়া পড়ে ; কিন্তু মাখনের দুধ রহিল গোয়াল-বাড়িতে, আর আমি আমার ঘরের জলে অহরহ আন্দোলন করিতে রহিলাম, ইহাতে কি মাখন জুটিবে । যাহারা পুথিপন্থী র্তাহারা বুক ফুলাইয়া বলিবেন,—আমরা তো কোনোরূপ স্থযোগ চাই না, আমরা ভাষা অধিকার চাই । আচ্ছা, সেই কথাই ভালো । মনে করো, তোমার সম্পত্তি যদি তামাজি হইয়া থাকে তাহা হইলে ন্যাষ্য স্বত্বও যে দথলিকারের মন জোগাইয়া উদ্ধারের চেষ্টা করিতে হয়। গবর্মেন্ট বলিতে তো একটা লোহার কল বোঝায় না । তাহার পশ্চাতে যে রক্তমাংসের মানুষ আছে– তাহারা যে নৃIনাধিক পরিমাণে ষড়রিপুর বশীভূত। র্তাহারা রাগদ্বেষের হাত এড়াইয়া একেবারে জীবন্মুক্ত হইয়া এ-দেশে আসেন নাই । তাহারা অন্যায় করিতে প্রবৃত্ত হইলে তাহ হাতে হাতে ধরাইয়া দেওয়াই যে অদ্যায়-সংশোধনের স্বনার উপায়, এমন কথা কেহ ৰলিবে না। এমন কি যেখানে আইনের তর্ক ধরিয়াই কাজ হয়, সেই আদালতের উকিল শুদ্ধমাত্র তর্কের জোর ফলাইতে সাহস করে না ; জজের মন বুৰিয়া অনেক সময় ভালো তর্কও র্তাহাকে পরিত্যাগ করিতে হয়, অনেক সময় বিচারকের কাছে মৌখিক পরাভব স্বীকারও করিতে হয়— তাহার কারণ, জজ তো আইনের পুথিমাত্র নহেন, তিনি সজীব মনুষ্য । যিনি আইন প্রয়োগ করিবেন, তাহার সম্বন্ধে যদি এত বাচাইয়া চলিতে হয়, যিনি আইন স্বষ্টি করিবেন তাহার মনুষ্যস্বভাবের প্রতি কি একেবারে দৃকপাত করাও প্রয়োজন হুইবে না ।