পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Séरे রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রকৃতি । অভিশাপ নয়, অভিশাপ নয়, আনছে আমার জন্মান্তর, মরণের সিংহদ্বার খুলছে, বজের হাতুড়ি মেরে । ভাঙল দরজা, ভাঙল প্রাচীর, ভাঙল আমার এ জন্মের সমস্ত মিথ্যে । ভয়ে কাপছে আমার মন, আনন্দে দুলছে আমার প্রাণ। ও আমার সর্বনাশ, ও আমার সর্বস্ব, তুমি এসেছ— আমার সমস্ত অপমানের চূড়ায় তোমাকে বসাব, গাখব তোমার সিংহাসন । আমার লজ দিয়ে, ভয় দিয়ে, আনন্দ দিয়ে । মা ! সময় হয়ে আসছে আমার । আর পারছি নে। শিগগির দেখ, তোর আয়নাটা । প্রকৃতি । মা, ভয় হচ্ছে । তার পথ আসছে শেষ হয়ে— তার পরে ? তার পরে कौ । उ५ ७हे चाथि ! श्राद्र किष्कू न ! ७उनिप्नद्र निईद्र छू:५ ७ष्ठहे डब्रtद ? उदू আমি ? কিসের জন্যে এত দীর্ঘ, এত দুর্গম পথ ! শেষ কোথায় এর । শুধু এই আমাতে ! offs; পথের শেষ কোথায়, শেষ কোথায়, কী আছে শেষে । এত কামনা এত সাধনা কোথায় মেশে । ঢেউ ওঠে-পড়ে কাদার, সম্মুখে ঘন আঁধার— পার অাছে কোন দেশে । আজ ভাবি মনে মনে, মরীচিকা-অন্বেষণে বুঝি তৃষ্ণার শেষ নেই— মনে ভয় লাগে সেই, হাল-ভাঙা পাল-ছেড়া ব্যথা চলেছে নিরুদ্দেশে ॥ মা। ও নিষ্ঠর মেয়ে, দয়া কর আমাকে । আমার আর সহ হয় না। শিগগির আয়নাটা দেখ, প্রকৃতি। ( আয়নাট্য দেখেই ফেলে দিল ) মা, ওম, ওমা, রাখ রাখ, রাধ রাখ ; ফিরিয়ে নে ফিরিয়ে নে তোর মন্ত্ৰ ! এখনি, এখনি ওরে ও ब्रांकूली, की कब्रणि, কী করলি, তুই মরলি নে কেন! কী দেখলেম ! ওগো, কোথায় আমাৰ সেই দীপ্ত উজ্জল, সেই শুভ্র নির্মল, সেই স্বদূর স্বর্গের আলো! কী স্নান, কী ক্লান্ত, আত্মপরাজয়ের