পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী ఫిసె র্তাকে ডাকতে পারেন— কিন্তু শ্বশুরের ছেলেগুলির সম্বন্ধে সন্দেহ আছে । তাই ব’লে শ্বশুরের মেয়ের কথাটা ভুলো না কবি । আমি ভুললেও তার সম্বন্ধে ভুল হবার আশঙ্কা নেই। আর শ্রুতিভূষণকে ? না মহারাজ, তার প্রতি তো আমার কিছুমাত্র বিদ্বেষ নেই, তাকে কেন দুঃখ দিতে যাব । *聯 কবি, তা হলে প্রস্তুত হও গে । না মহারাজ, আমি অপ্রস্তুত হয়েই কাজ করতে চাই । বেশি বানাতে গেলেই সত্য ছাই-চাপা পড়ে । চিত্রপট— চিত্রপটে প্রয়োজন নেই– আমার দরকার চিত্তপট— সেইখানে শুধু স্বরের তুলি বুলিয়ে ছবি জাগাব। এ নাটকে গান আছে নাকি । ই৷ মহারাজ, গানের চাবি দিয়েই এর এক-একটি অঙ্কের দরজা খোলা হবে । গানের বিষয়টা কী । শীতের বস্ত্রহরণ । এ তে কোনো পুরাণে পড়া যায় নি। বিশ্বপুরাণে এই গীতের পাল আছে । ঋতুর নাট্যে বৎসরে বৎসরে শীতবুড়োটার ছদ্মবেশ খসিয়ে তার বসন্ত-রূপ প্রকাশ করা হয়, দেখি পুরাতনটাই নূতন । এ তো গেল গানের কথা, বাকিটা ? বাকিট। প্রাণের কথা । সে কী রকম । যৌবনের দল একটা বুড়োর পিছনে ছুটে চলেছে। তাকে ধরবে বলে পণ । গুহার মধ্যে ঢুকে যখন ধরলে তখন— তখন কী দেখলে । কী দেখলে সেটা যথাসময়ে প্রকাশ হবে । কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারলুম না । তোমার গানের বিষয় আর তোমার নাট্যের বিষয়টা আলাদা নাকি । 通 না মহারাজ, বিশ্বের মধ্যে বসন্তের যে লীলা চলছে আমাদের প্রাণের মধ্যে যৌবনের সেই একই লীল। বিশ্বকবির সেই গীতিকাব্য থেকেই তো ভাব চুরি করেছি।