পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা এ কথা শুধায় সবে ভীত আর্তর বে ঘুম হতে অকস্মাৎ জেগে । ঝড়ের পুঞ্জিত মেঘে কালোয় ঢেকেছে আলো— জানে না তো কেউ রাত্রি আছে কি না আছে ; দিগস্তে ফেনায়ে উঠে ঢেউ— তারি মাঝে ফুকারে কাণ্ডারী— “নৃতন সমুদ্রতীরে তরী নিয়ে দিতে হবে পাড়ি ।” বাহিরিয়া এল কা’রা । মা কঁাদিছে পিছে, প্রেয়সী দাড়ায়ে দ্বারে নয়ন মুদিছে। ঝড়ের গর্জনমাঝে বিচ্ছেদের হাহাকার বাজে ; ঘরে ঘরে শূন্য হল আরামের শয্যাতল ; “যাত্রা করে, যাত্রা করে যাত্রীদল,” উঠেছে আদেশ, “বন্দরের কাল হল শেষ।” মৃত্যু ভেদ করি’ দুলিয়া চলেছে তরী। কোথায় পৌছিবে ঘাটে, কবে হবে পার, সময় তো নাই শুধাবার । এই শুধু জানিয়াছে সার তরঙ্গের সাথে লড়ি বাহিয়া চলিতে হবে তরী। টানিয়া রাখিতে হবে পাল, অঁাকড়ি ধরিতে হবে হাল ;– বঁচি অণর মরি বাহিয়া চলিতে হবে তরী । এসেছে অাদেশ— বন্দরের কাল হল শেষ । や>