পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se S8ዔ ভাবকে উন্মুক্ত ও পরিব্যাপ্ত করিয়া দেয়। সেইজন্য উপনিষদ বলিয়াছেন- ওমিতি ব্ৰহ্ম। ওম বলিতে ব্ৰহ্ম বুঝায়। ওমিতীদং সৰ্ব্বং, এই যাহা কিছু সমস্তই ঐ ! ওঁ শব্দ সমস্তকেই সমাচ্ছন্ন করিয়া দেয়। অর্থবন্ধনহীন কেবল একটি সুগভীর ধ্বনিরূপে ঔ শব্দ ব্ৰহ্মকে নির্দেশ করিতেছে। আবার ও শব্দের একটি অর্থও আছে- সে অর্থ এত উদার যে তাহা মনকে আশ্রয় দানন করে, অথচ কোনো সীমায় বদ্ধ করে না। আধুনিক সমস্ত ভারতবষীয় আর্য ভাষায় যেখানে আমরা হা বলিয়া থাকি প্রাচীন সংস্কৃতভাষায় সেইখানে ও শব্দের প্রয়োগ। ই শব্দ ও শব্দেরই রূপান্তর বলিয়া সহজেই অনুমিত হয়। উপনিষদও বলিতেছেন ওমিত্যেতদ অনুকৃতির্ভু স্ম— ও শব্দ অনুকৃতি বাচক, অর্থাৎ "ইহা করো বলিলে, ওঁ অৰ্থাৎ হা বলিয়া সেই আদেশের অননুকরণ করা হইয়া থাকে। ওঁ স্বীকারোক্তি। এই স্বীকারোক্তি ওঁ, ব্ৰহ্ম-নিৰ্দেশক শব্দরূপে গণ্য হইয়াছে। ব্ৰহ্মধ্যানের কেবল এইটুকুমাত্র অবলম্বন- ওঁ, তিনি ই! ইংরাজ মনীষী কালাইলও তাঁহাকে Everlasting Yea অর্থাৎ শাশ্বত ওঁ বলিয়াছেন!! এমন প্রবল পরিপূর্ণ কথা আর কিছুই নাই, তিনি হা, ব্ৰহ্ম ওঁ ! আমরা কে কাহাকে স্বীকার করি সেই বুঝিয়া আত্মার মহত্ত্ব! কেহ জগতের মধ্যে একমাত্র ধনকেই স্বীকার করে, কেহ মানকে, কেহ খাতিকে আদিম আর্যগণ ইন্দ্ৰ চন্দ্র বরুণকে ও বলিয়া স্বীকার করিতেন, সেই দেবতার অস্তিত্বই তাহদের নিকট সর্বশ্রেষ্ট বলিয়া প্ৰতিভাত হইত। উপনিষদের ঋষিগণ বলিলেন জগতে ও জগতের বাহিরে ব্ৰহ্মই একমাত্র ও তিনিই চিরন্তন হা, তিনিই { verlasting Ye: ; আমাদের আত্মার মধ্যে তিনি ও, তিনিই ই; বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে তিনি ওঁ, তিনিই হার এবং বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড দেশকলৈকে অতিক্ৰম কবিয়া তিনি ও, তিনিই হা! এই মহান নিতা এবং DBuBBB SBB SS Etktt BBDB uBBk BBBBLkkDBS gBB BBk BBB BBB00D yeBu uD uDS কোনো চিহ্ন ছিল না— কেবল এই একটি মাত্র ক্ষুদ্র অথচ সুবৃহৎ ধ্বনি ছিল ও এই ধ্বনির সাহায়ে ঋষিগণ উপাসনানিশিত আত্মাকে একাগ্রগামী শরের নায় ব্ৰহ্মের মধ্যে নিমগ্ন কবিয়া দিতেন । এই ধ্বনির সাহায়ে ব্ৰহ্মবাদী সংসারগণ বিশ্বজগতের যাহা কিছু সমস্তকেই ব্ৰহ্মের দ্বারা সমাবৃত কবিয়া *7で、 ওমিতি সামানি গায়ন্তি । ওঁ বলিয়া সাম সকল গীত হইতে থাকে ! ওঁ আনন্দধবনি ! ওঁ সংগীত তদার প্ৰেম উদবোলিত ও ব্যাপ্ত হইতে থাকে। ওঁ আনন্দ । ওমিতি ব্ৰহ্মা প্রসীেতি ! ওঁ আদেশবাচক। ওঁ বলিয়া ঋত্বিক আজ্ঞা প্ৰদান করেন। সমস্ত সংসারের উপর, আমাদের সমস্ত কর্মের উপর, মহৎ আদেশ-রূপে নিতাকাল ও ধবনিত হইতেছে। জগতের অভ্যন্তরে এবং জগৎকে অতিক্রম করিয়া যিনি সকল সত্যের পরম সত্য, আমাদের হৃদয়ের মধ্যে তিনি সকল আনন্দের পরমানন্দ, এবং আমাদের কর্মসংসারে তিনি সকল আদেশের পরমাদেশ। তিনি ওঁ । ন তত্ৰ সূৰ্য্যো ভাতি ন চন্দ্ৰতারকং নেমা বিদ্যুতো ভান্তি কুতোহয়ামগ্নিঃ। তমেব ভাস্তমনুভাতি সর্ববং তস্য ভাসা সর্ববমিদং বিভাতি। তিনি যেখানে সেখানে সূর্যের প্রকাশ নাই, চন্দ্ৰতারকার প্রকাশ নাই, বিদ্যুতের প্রকাশ নাই, এই অগ্নির প্রকাশ কোথায়? সেই জ্যোতির্ময়ের প্রকাশেই সমস্ত প্ৰকাশিত, তাহার দীপ্তিতেই সমস্ত দীপ্যমান। তিনিই ঔ } তদোতাৎ প্ৰেয়ঃ পুত্ৰাৎ প্রেয়ো বিত্তাৎ (23Reforțe FKkfore TVNOR RWANN I এই-যে অন্তরতর পরমাত্মা তিনি পুত্র হইতে প্রিয়, বিত্ত হইতে প্রিয়, সকল হইতেই প্রিয়। তিনিই ઉં –