পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী আজ যবে চলিতেছে সাংঘাতিক হিসাবনিকাশ, দিদিগন্তে ক্ষমাহীন অদৃষ্টের দশনবিকাশ, বিধাতার ছেলেমামুষির খেলাঘর যত ছিল ভেঙে সব হল চৌচির । আজি মনে পড়ে সেই দিন অর রাত, প্রশস্ত সে ছাত, সেই আলে৷ সেই অন্ধকারে কর্মস দ্রের মাঝে নৈষ্কর্ম্যদ্বীপের পারে বালকের মনখান। মধ্যাহ্নে ঘুঘুর ডাক যেন । এ সংসারে কী হতেছে কেন ভাগ্যের চক্রান্তে কোথ। কী যে, প্রশ্নলীন বিশ্বে তার জিজ্ঞাসা করে নি কন্তু নিজে এ নিখিলে যে জগৎ ছেলেমানুষির বয়স্কের দৃষ্টিকোণে সেটা ছিল কৌতুকহাসির, বালকের জানা ছিল না তা । সেইখানে অবাধ আসন তার পাত । সেথ তার দেবলোক, স্বকল্পিত স্বর্গের কিনারা, বুদ্ধির ভৎসন নাই, নাই সেথ প্রশ্নের পাহার, যুক্তির সংকেত নাই পথে, ইচ্ছা সঞ্চরণ করে বল্লামুক্ত রথে । ২০ মনে ভাবিতেছি, যেন অসংখ্য ভাষার শব্দরাজি ছাড়া পেল আজি, দীর্ঘকাল ব্যাকরণদুর্গে বন্দী রহি অকস্মাং হয়েছে বিদ্রোহী, অবিশ্রাম সারি সরি কুচকাওয়াজের পদক্ষেপে উঠেছে অধীর হয়ে খেপে । লজিঘয়াছে বাক্যের শাসন, নিয়েছে অনুদ্ধিলোকে আবদ্ধ ভাষণ,