পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণগাথা । هه د নটরাজ। আকাশপথে যিনি এসেছেন অতিথি— আবির্ভাব র্যার অরণ্যের রাসমঞ্চে, পূর্বদিগন্তে উড়েছে যার কেশকলাপ । সভাকবি । ওহে নটরাজ, আমরা আধুনিক কালের কবি— ফুলকাটা বুলি দিয়ে আমরা কথা কই নে— তুমি যেটা অত করে ঘুরিয়ে বললে, আমরা সেটাকে সাদা ভাষায় বলে থাকি বদলা । নটরাজ। বাদল নামে রাজপথের ধুলোয়, সেটাকে দেয় কাদা করে। বাদল নামে রাজপ্রহরীদের পাগড়ির পরে, তার পাকে পাকে জমিয়ে তোলে কফের প্রকোপ । আমি র্যার কথা বলছি তিনি নামেন ধরণীর প্রাণমন্দিরে, বিরহীর মর্মবেদনায় । রাজা । তোমাদের দেশের লোক কথা জমাতে পারে বটে। সভাকবি । ওঁদের শব্দ আছে বিস্তর, কিন্তু মহারাজ, অর্থের বড়ো টানাটানি । নটরাজ। নইলে রাজদ্বারে আসব কোন দুঃখে । এইবার শুরু করে। বাকি আমি রাখব না কিছুই । তোমার চলার পথে পথে ছেয়ে দেব ভুই । ওগো মোহন, তোমার উত্তরীয় গন্ধে অামার ভরে নিয়ো, উজাড় করে দেব পায়ে বকুল বেল জুই । পুরব-সাগর পার হয়ে যে এলে পথিক তুমি, আমার সকল দেব অতিথিরে আমি বনভূমি । আমার কুলীয়-ভরা রয়েছে গান, সব তোমারেই করেছি দান, দেবার কাঙাল করে আমায় চরণ যখন ছুই ॥ রাজা । দেখলুম, শুনলুম, লাগল ভালো, কিন্তু বুঝে পড়ে নিতে গেলে পুথির দরকার। অাছে পুথি ? নটরাজ। এই নাও, মহারাজ । রাজা । তোমাদের অক্ষরের ছাদট। সুন্দর, কিন্তু বোঝা শক্ত । এ কি চীন অক্ষরে লেখা নাকি । .هے নটরাজ। বলতে পারেন অচিনা অক্ষরে । রাজা । কিন্তু, রচনা যার সে গেল কোথায় । নটরাজ। সে পালিয়েছে।