পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>b- রবীন্দ্র-রচনাবলী অঁাক’ ধরাবক্ষে দিকৃবধূচক্ষে সুশীতল সুকোমল শ্রামরসরঞ্জন । এলে বীর, ছন্দে—- তব কটিবন্ধে বিদ্যুৎ-অসিলতা বেজে ওঠে বাঞ্চন । তব উত্তরীয়ে ছায়া দিলে ভরিয়ে তমালবনশিখরে নবনীল-অঞ্জন । ঝিল্লির মন্দ্রে মালতীর গন্ধে মিলাইলে চঞ্চল মধুকর গুঞ্জন । নৃত্যের ভঙ্গে এলে নবরঙ্গে, সচকিত পল্লবে নাচে যেন পঞ্জন ৷ রাজা। ওহে নটরাজ, সভাকবির মুখে আর শব্দমাত্র নেই। এর চেয়ে বড়ে সাধুবাদ আর আশা কোরো না। সভাকবি । আছে মহারাজ, আছে, বলবার বিষয় আছে– হঠাৎ মুখ বন্ধ করে দেবেন না । রাজা। আচ্ছা, বলে। সভাকবি । আমি আধুনিক বটে, কিন্তু নাচ সম্বন্ধে আমি প্রাচীনপন্থী। রাজা । কী বলতে চাও । সভাকবি । নৃত্যকলায় দোষ আছে, ওটাকে হেয় করে রাখাই শ্রেয়। রাজা। কাব্যে কোথাও কোনো দোষ সম্ভব নয় বুঝি ! কত কালিদাস এবং অকালিদাস দেখা গেল, ওঁদের শ্লোকগুলোর মধ্যে পণক বঁচিয়ে চলা দায় যে । সভাকবি। কাব্য বলুন, গীতকলা বলুন, ওরা অভিজাতশ্রেণীয়, ওদের দোষকেও শিরোধার্য করতে হয়। কিন্তু ঐ নৃত্যকলার আভিজাত্য নেই, গৌড়দেশের ব্রাহ্মণর ওকে অনাচরণীয়। ব’লে থাকেন । নটরাজ। কবিবর, তোমার গৌড়দেশের স্বচনা হবার বহু পূর্বে যখন আদিদেবের