পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণগাথা >ミ> ওর অকারণে চঞ্চল ; ডালে ডালে দোলে বায়ুহিল্লোলে নব পল্লবদল । বাতাসে বাতাসে প্রাণভর বাণী শুনিতে পেয়েছে কথন কী জানি, মর্মরতানে দিকে দিকে আনে কৈশোর-কোলাহল । ওর। কান পেতে শোনে গগনে গগনে মেঘে মেঘে কাম কানি, বনে বনে জানাজানি । ওর। প্রাণ-ঝরনার উচ্ছল ধার ঝরিয়া ঝরিয়৷ বহে অনিবার, চিরতাপসিনী ধরণীর ওরা শু্যামশিগ। হোমানল ৷ রাজ। সাধু সাধু ! কিন্তু নটরাজ, এ হল ললিত চাঞ্চল্য– এবার একটা দুললিত চাঞ্চল্য দেখিয়ে দাও । নটরাজ। এমন চাঞ্চল্য আছে যাতে বাধন শক্ত করে, আবার এমন আছে যাতে শিকল ছেড়ে । সেই মুক্তির উদবেগ আছে শ্রাবণের অস্তরে । এসে তে বিজুলি, এসে বিপাশ । হ। বে, রে রে, রে রে, অামায় ছেড়ে দে রে, দে রে— যেমন ছাড় বনের পাখি মনের আনন্দে রে । ঘন শ্রাবণধার। যেমন বাধন-হারা, বাদল বাতাস যেমন ডাকাত আকাশ লুটে ফেরে। হ। রে, রে রে, রে রে, অামায় রাখবে ধ’রে কে রে— দাবানলের নাচন যেমন সকল কানন ঘেরে, বজ যেমন বেগে গৰ্জে ঝড়ের মেঘে, অট্টহাস্ত্যে সকল বিল্প- বাধার বক্ষ চেরে ॥ সভাকবি । মহারাজ, আমাদের দুর্বল রুচি, ক্ষীণ আমাদের পরিপাকশক্তি । আমাদের প্রতি দয়ামায় রাখবেন । জানেন তো, ব্রাহ্মণ। মধুরপ্রিয়াঃ । রুদ্ররস রাজন্যদেরই মানায় । নটরাজ। আচ্ছ, তবে শোনে। কিন্তু বলে রাখছি, রস জোগান দিলেই যে রস ভোগ করা যায় তা নয়, নিজের অন্তরে রসরাজের দয়া থাকা চাই । २(t-s