পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ রবীন্দ্র-রচনাবলী মনে হয়, যেন আকাশে অগণ্য গ্ৰহতার অন্তহীন কালে আমারি প্রাণের দায় করিছে স্বীকার তার পরে জানি যবে তুমি চলে যাবে, আতঙ্ক জাগায় অকস্মাং উদাসীন জগতের ভীষণ স্তব্ধতা । জোড়াসণকো ১২ নভেম্বর, ১৯৪০ । রাত্ৰি দুটা Եր মনে হয় হেমন্তের দুভৰ্ণষার কুজ্বাটিকা-পানে আলোকের কী যেন ভংসন। দিগন্তের মুঢ়তারে তুলিছে তর্জনী । পাণ্ডুবর্ণ হয়ে আসে সূর্যোদয় আকাশের ভালে, লজ্জা ঘনীভূত হয়, হিমসিক্ত অরণ্যছায়ায় স্তব্ধ হয় পাখিদের গান । জোড়াসণকে ১৩ নভেম্বর, ১৯৪০ ఏ হে প্রাচীন তমস্বিনী, আজি আমি রোগের বিমিশ্র তমিস্রায় মনে মনে হেরিতেছি— কালের প্রথম কল্পে নিরস্তর অন্ধকারে বসেছ স্থষ্টির ধ্যানে